গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে ১ হাজার ২৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিভাগে এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে ১ জুলাই এক দিনে রেকর্ড ১ হাজার ২৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর বিভাগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিও বিভাগে এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ৬ জুলাই এক দিনে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন ২২ জন নিয়ে বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়াল। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ২০ জন। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নাজমা আক্তার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে ৫ হাজার ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৪৬ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিন ৪ হাজার ৫৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। নতুন ১ হাজার ২৪৬ জন নিয়ে বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯৪১। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ পাবনায় ৩৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীতে ২৬৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯, নওগাঁয় ৪১, নাটোরে ২২৮, জয়পুরহাটে ৩৪, বগুড়ায় ১৭০ ও সিরাজগঞ্জে ১৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগে এ পর্যন্ত মৃত ১ হাজার ২০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বগুড়ায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে রাজশাহীতে ১৮৭ জনের। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২১, নওগাঁয় ৯৯, নাটোরে ৬৫, জয়পুরহাটে ৩৮, সিরাজগঞ্জে ৩০ ও পাবনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের ২৬ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগে প্রথম করোনা রোগী মারা যান। বিভাগের এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর বিভাগে মারা যান ৩৬৬ জন। আর এ বছর এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৫৪ জন। এর মধ্যে গেল জুন মাসেই মারা গেছেন ৩২৬ জন। আর জুলাই মাসের ৯ দিনে মারা গেছেন ১৩০ জন।
এদিকে, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সুস্থ হয়েছেন ৯৪৫ জন। এটি গত এক মাসের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ সুস্থ। আগের দিন সুস্থ হয়েছিলেন ৫৪৩ জন। নতুন ৯৪৫ জন নিয়ে বিভাগে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৩১ জন। বর্তমানে বিভাগের ৮ জেলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ হাজার ৯৯০ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৭ জন। বিভাগে হাসপাতালের বাইরে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২ হাজার ৫২০ জন।