ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশে বহিরাগতদের শনাক্ত করতে অনসাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ওআইভিএস) নামের একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে র্যাব।
মোবাইল ফোনের মতো দেখতে যন্ত্রটিতে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ও অপরাধী শনাক্ত করা যায়।
আঙ্গুলের ছাপের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর কিংবা জন্মতারিখের তথ্য দিয়ে যে কারও সম্পর্কে সহজেই তথ্য পাওয়া যায় যন্ত্রটিতে।
যন্ত্রটি তাৎক্ষণিক জাতীয় পরিচয়পত্র, অপরাধীদের ডেটাবেজ ও কারাভোগের ডেটাবেজের তথ্য দিতে পারে বলে র্যাবের ভাষ্য।
পুলিশের বিশেষ এ ইউনিট সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব দায়িত্ব পালন করছে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিটি সংসদীয় আসনে র্যাব সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা এবং ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ঘোরাঘুরি না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা রয়েছে।
ওই নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে র্যাব বলেছে, ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশের এলাকায় বহিরাগতদের পরিচয় শনাক্তে টহল দলের কাছে ওআইভিএস থাকবে।
তাছাড়া এক এলাকার ভোটার অন্য এলাকায় গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে কি না তা ধরতেও যন্ত্রটি ব্যবহার করবে র্যাব।
দীর্ঘদিন ধরে পলাতক বা আত্মগোপনে থাকা অপরাধীরা ভোটের মধ্যে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, সেজন্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওআইভিএস ব্যবহার করে তাদের শনাক্ত করে র্যাব আইনি ব্যবস্থাও নেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।