ঢাকা অফিস।।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ২১১ জন। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৭২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। মৃত ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও ১৬ জন নারী। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১১৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৪ হাজার ৯১৯ জন। সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৬৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৮টি, জিন এক্সপার্ট ৩৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩০১টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৮৫৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৮টি। এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জন। সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে ৬ জন। এছাড়া রংপুর বিভাগে ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন। আর বাড়িতে মারা গেছেন ২ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৯৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৮ হাজার ৬৬৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৫১০ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তা সাড়ে ৭ লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যু হয়।