মাত্র ২০ বছরের তরুণী কোলেন স্ট্যান অপহরণকারীর পাল্লায় পড়েছিলেন। প্রায় সাত বছর অপহরণকারীদের কাছে তিনি আটকা ছিলেন। সে ছিল এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই তাকে কাটাতে হত একটি কাঠের বাক্সের মধ্যে।
সেই কাঠের বাক্সে না ঢোকে আলো, না পৌঁছায় বাতাস। তবু সেভাবেই বছরের পর বছর থাকতে হয়েছে তাকে। এত দীর্ঘ সময় ধরে কাউকে অপহরণ করে রাখার ঘটনা বোধহয় অপরাধ জগতের ইতিহাসেও বেশ বিরল। খুবই অদ্ভুত ভাবে অপহরণ করা হয়েছিল তরুণীকে।
রাস্তায় একটি গাড়িতে লিফট চেয়েছিলেন কোলেন। তাকে দেখে থেমেও যায় গাড়িটি। তবে গাড়িতে ওঠার পরই কোলেনকে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিকারী। এরপর নিজের বাড়িতেই কোলেনকে বাক্সবন্দি করে রাখে ওই অপহরণকারী। দীর্ঘ সাত বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার চালানো হয় তরুণীর উপর।
তাকে কার্যত যৌনদাসীতে পরিণত করা হয়েছিল। অবশেষে একদিন সেই কারাগার থেকে পালাতে সক্ষম হন কোলেন। কিন্তু এত কিছুর পরও নিজের অপহরণকারী সম্পর্কে কোনও অভিযোগই করেননি তিনি। উল্টে অপরহরণকারীকে বাড়ির লোকের কাছে নিজের স্বামী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছিলেন তরুণী।
ঘটনাটি নিয়ে বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল সে সময়ে। মুক্তি পাওয়ার পরও কেন কোনও অভিযোগ করলেন না তরুণী? এ প্রশ্নে হইচই পড়ে গিয়েছিল। অনেকেই মনে করতেন, সেই অপহরণকারী এমন ভাবে কোলেনের মগজধোলাই করেছিল, যার জেরে অভিযোগ করার কথা ভাবতেও ভয় পেয়েছিলেন কোলেন।
পরবর্তীকালে এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল বেশ কিছু তথ্যচিত্রও। তবে সেই সিনেমা দেখে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাননি, এ ছবি আদতে গল্প হলেও সত্যি। সূত্র : ডেইলি মেইল, মিরর ইউকে।