ঈশ্বরদী লালপুর সড়কে আবারো ঝড়লো তরতাজা প্রাণ।
পাবনার ঈশ্বরদীর সড়ক গুলোতে বাড়ছে যেনো মৃত্যুর মিছিল। কোনোভাবে রোধ করা যাচ্ছেনা সড়ক দূঘটনা। গত ১ মাসে ঈশ্বরদী-লালপুর অঞ্চলিক সহাসড়কে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে গত কাল শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঈশ্বরদী-লালপুর মহাসড়কের ঈশ্বরদী গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতালের সামনে প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে জোবায়ের আলম মনা (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মনা ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারাখালীর মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঈশ্বরদী-লালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে রুপপুর প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত নিকিমথ কোম্পানির টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়িটি দ্রুত গতিতে রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীতে আসার পথে উপজেলার গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতালের সামনে অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে অটোরিকশার চালক মনা ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আহত মনাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রূপপুর প্রকল্পের কাজে নিয়জিত নিকিমথ কোম্পানির প্রাইভেট কার ও অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
এক মাসে ৪ জনের মৃত্যু
বেপরোয়া দ্রুত গতির গাড়ি সড়ক দূর্ঘটনার মূল কারণ
দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে এই সড়কে ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ ) সকালে শহরের গোকুলনগরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১ জন আহত হয়। তার আগে গত ১১ মার্চ সোমবার সকালে একই সড়কে পৌর শহরের পশ্চিম টেংরী রেনেসা ক্লাবের সামনে দ্রুত গতির ইঞ্জিল চালিত অবৈধ স্টিয়ারিং ট্রলির (কুত্তা গাড়ি) সাথে মোটরসাইকেলর মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।