স্টাফ রিপোর্টার।।
পাবনার ঈশ্বরদী পৌর সভার মেয়র ইছাহক আলি মালিথার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার ও মানমানিকর বক্তব্য দেওয়ায় ভূমিদস্যু মামলাবাজ কামরুজ্জামান সিরাজকে আইনের আওতায় আনার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯মে) দুপুরে ঈশ্বরদী পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভার মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর আবুল হাশেম জানান, শহরের পাতিলাখালি এলাকার কামরুজ্জামান সিরাজ একজন চিহিৃত ভূমিদস্যু। মামলাবাজ লোক। এ যাবত কামরুজ্জামান সিরাজ নিজ এলাকাসহ শহরের বেশ কিছু সম্মানি ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪০ টি মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করেছেন।
প্যানেল মেয়র আরও জানান, কামরুজ্জামান সিরাজ নিজেকে কখনো জাতীয়পার্টি, কখনো জামায়াত, কখনো বিএনপি আবার কখনো বা আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয়ে এলাকার সাধারণ মানুষক হুমকি ধামকি প্রদান করেন। রেলওয়ের কয়েকশত বিঘা জমি কৃষি লিজ হিসেবে নিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট ৩০-৫০ হাজার টাকা শতাংশ হারে বিক্রয় করছেন। সরকারের কয়েক কোটি টাকার লোকসান করে নিজে কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। রেলওয়ের জমির পজিশন বিক্রয় করে ব্যক্তি মালিকানা জমি কিনে জমির মালিক হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পৌরসভার পাতিলাখালি এলাকায় কেউ জমি কিনলে বা বাড়ি করতে গেলে কামরুজ্জামান সিরাজকে তার চাহিদা মোতাবেক চাঁদা দিতে হয়। না দিলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দেওয়া হয়। সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়।
সম্প্রতি ওই এলাকার আনোয়ার হোসেন নামের এক সবজি ব্যবসায়ী মাত্র দুই শতাংশ জমি কিনে বাড়ির কাজ শুরু করেন। কিন্তু কামরুজ্জামান সিরাজকে চাঁদা না দেওয়ায় আদালত থেকে ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছেন। এমনকি রাতে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন ওই বাড়ি ভাংচুর করেন। রড, সিমেন্ট লুট করে নিয়ে যান। কামরুজ্জামান সিরাজের নিকট অসহায় মানুষগুলো বিচার স্থানীয়ভাবে পৌরসভার মেয়রের নিকট বিচার প্রাথর্ী হয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা কামরুজ্জামান সিরাজকে সতর্ক করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলাবাজ ভূমিদস্যু কামরুজ্জামান সিরাজ নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের নামে মেয়রের বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যাচার করেছেন। অপ্রচার চালাচ্ছেন। সংবাদপত্রে লেখনির মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরের মাধ্যমে কামরুজ্জামান সিরাজকে গ্রেফতার করার জন্য অনুরোধ জানান প্যানেল মেয়র আবুল হাশেম।
এই সময় কামরুজ্জামান সিরাজ কর্তৃক অহেতুক হামলা, মামলা চাঁদাবাজি ও জমি দখলের শিকার হওয়া বেশ কিছু ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্য, পৌর সভার কাউন্সিলরবৃন্দ, পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ###