স্টাফ রিপোর্টার।।
ঈশ্বরদীতে পদ্মানদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে লক্ষীকুন্ডা নৌ -ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যরা।
বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলাম পাড়া গ্রামের আনসারের চায়ের দোকান সংলগ্ন পদ্মানদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মানিকুল ইসলাম (২৫) চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার মনোহরপুর গ্রামের মো. ভীকু ইসলামের ছেলে।
প্রতক্ষ্যদর্শী এবং নৌপুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে স্থানীয়রা উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলাম পাড়া গ্রামের আসলামের চায়ের দোকান থেকে ২০০ মিটার দুরে পদ্মানদীতে একটি যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখে ৯৯৯ এ কল দেয়। খবর পেয়ে লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শাওন সহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই নূরুল ইসলাম জানান, আমার ভাইয়ের ৪ মাসের একটি শিশু কন্যা এবং আড়াই বছরের একটি শিশু সন্তার রয়েছে। গত (২৫ আগষ্ট) শুক্রবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটা থেকে তার ভাই নিখোঁজ ছিলেন। সম্ভাব্য সকল আত্বীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজ খবর নিয়েও তার কোন সন্ধান আমরা পাইনি। তারপর গতরাতে হঠাৎ করে লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফোন করে আমাদের জানান ঈশ্বরদীর পদ্মানদীতে ভাসমান অবস্থায় আমার ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে।
লক্ষীকুন্ডা নৌ-ফাড়ির ইনচার্জ এমদাদুলহক জানান, ২৯ তারিখ রাতে খবর পেয়ে আমি সহ আমার ফোর্সের সমন্বয়ে মৃতদেহটি পদ্মা থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেই। ময়না তদন্তকালে মৃতদেহের শরীরে থানা আন্ডার ওয়্যারের মধ্যে কনডমে আটকানো একটি বাটন ফোন পাই। সেই ফোনের সূত্র ধরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বৃহস্পতিবার সকালে উপস্থিত হন। এ বিষয়ে অজ্ঞাত আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।