পাবনার ঈশ্বরদীতে মাহি খাতুন (১১) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত বখাটে সোহেল (ওরফে ছাগল সোহেলের) উপযুক্ত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী মাহি খাতুন উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের শেখের দাঁইড় গ্রামের মহাবুল হোসেনর মেয়ে এবং মিরকামারী আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বখাটে ঐ সোহেল একই ইউনিয়নের চরমিরকামারী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীরা জানান, রবিবার সকালে ক্লাস করার উদ্দেশ্যে মাহি ও তার সহপাঠীরা মাদ্রাসায় যায়। এসময় সহপাঠিদের সঙ্গে মাদ্রাসা মাঠেই ঘুরাফেরা করছিলো সে। হঠাৎ মাদ্রাসা সংলগ্ন লিচু গাছের লিচু পাড়ার সন্দেহে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মাদ্রাসার লিচু বাগান ক্রেতা সোহেল নামের ঐ বখাটে। একপর্যায়ে মাহি ও তার সহপাঠীদের পিটিয়ে আহত করে বখাটে সোহেল। এসময় মাহির গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করলে অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে তার সহপাঠীদের আত্ম চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর সহপাঠী সামিয়া জানান, আসলে মাহি বা আমরা কেউই লিচু পাড়ি নি। বখাটে সোহেল সন্দেহজনক ভাবে মাহিকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় মাহি অচেতন হয়ে যায়। আমরা এ বখাটের সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাই।
মানবন্ধনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগী মাহির চাচা মুকুল হোসেন বলেন, সোহেল এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মুদি দোকানের ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে সে মাদক ও সুদের কারবারের সাথে সম্পৃক্ত। তার দোকানে নিয়মিত জুয়া খেলা হয়। এর আগেও মাদ্রাসাগামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চায়। যেন আগামী দিনে আর কোনো শিক্ষার্থীদের সাথে এমন না হয়।
এদিকে অভিযুক্ত সোহেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। ঘটনার বিষয়ে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও শিক্ষকরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচা মুকুল বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার।