রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঈশ্বরদীতে কানাডিয়ান হাই কমিশনার পরিচয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে জমির দলিলের নাম পরিবর্তন করতে এসে আটক হয়েছেন এক ভুয়া হাই কমিশনার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এম আফজাল হোসেন (৭০)।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
আটক এম আফজাল হোসেন ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল কান্দিপাড়ার মৃত চাঁদ আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি কানাডা প্রবাসী।
ঈশ্বরদী সহকারী ভূমি অফিস ও থানা সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে কালো রঙের একটি দামী প্রাইভেটকার যোগে এম আফজাল হোসেন নামের ওই ব্যক্তিটি জমি দলিলের নাম খারিজের জন্য আসেন। তিনি গাড়িতে বসে থেকেই কাজটি দ্রুত করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নিজেকে ১৯তম বিসিএস ক্যাডার হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও কানাডিয়ান হাই কমিশনার কমিশনার পরিচয় দেন। এই সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলেন। বিষয়টি ইউএনও জানতে পেরে তাকে কার্যালয়ে নিয়ে আসতে বলেন। পরে তার পরিচয়পত্র দেখে ও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন এম আফজাল হোসেন একজন ভুয়া হাই কমিশনার ও সাবেক সচিব।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস জানান, আটক এম আফজাল হোসেন ভুয়া পরিচয়ে জমির দলিলের নাম পরিবর্তন (মিউটিশন) করতে আসেন। বিষয়টি পাবনা জেলা প্রশাসক অবগত করা হয়। তারপর কানাডিয়ান হাই কমিশনার কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে জানানো হয় এম আফজাল হোসেন নামে সেখানে কেউ নেই। এরপরই তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কানাডিয়ান হাই কমিশনার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব পরিচয় প্রদান করে আটক হওয়া এম আফজাল হোসেন নিজের ভুল স্বীকার করে জানান, তিনি কানাডা প্রবাসী। গত ১০-১২ দিন আগে কানাডা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। সম্প্রতি তার স্ত্রী মারা গেছেন। এজন্য তার মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার জন্য তিনি অনুতপ্ত প্রকাশ করেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের এক স্টাফ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আটক এম আফজাল হোসেনকে আগামীকাল পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
