ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
—————-
স্টাফ রিপোর্টার।। আজ ২৯ মে’২৩ সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত নামা অসংখ্য নেতাকর্মীকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে আয়োজিত এই সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, গত ২৭ মে’২৩ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় ঈশ্বরদী শহরের রেলগেটের পশ্চিম পাশে বিমানবন্দর সড়কের ওপর গাড়ি দাঁড় করানোকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মোঃ জাহিদুর রহমানের সাথে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদ হাসান সোনামণি ও তার কয়েকজন সহযোগীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোনামণিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনাটি ঘটে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে। যা ঈশ্বরদীবাসী অবগত আছেন।
এটি ব্যক্তিগত সমস্যা। যার সাথে আমাদের কারোর সম্পৃক্ততা নেই। তাই ঘটনার কিছু অংশ বিশ্লেষণ ও প্রশাসন সহ সর্বস্তরের মানুষকে অবহিত করা প্রয়োজন মনে করছি।

তিনি বলেন, সোনামণিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য দলবেঁধে এসে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল সহ যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ নেতা কর্মীকে আটক করে পুলিশ বেদম মারপিট করে। এতে তারা আহত হয়।

এই ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে যুবদল সহ স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ জন নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।

তিনি বলেন, অন্যায়কারী যেই হোক না কেন সে শাস্তি পাক তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। পুলিশ সদস্য ও সোনামণিদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া অন্য কিছুই ছিলো না।

ট্রাফিক পুলিশের সাথে ছোট ভাইদের বাকবিতন্ডার কথা শুনে ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জাহিদুর রহমান ও টিএসআই জাহিদ শেখ’র সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অনাকাঙ্খিত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার আশংকায় সোনামণি নিজের মোবাইল থেকে ফেসবুক লাইভে যায়।

এ বিষয়টি বুঝতে পেরে টিএসআই জাহিদ ওর্য়ারলেস বার্তায় থানা ও ট্রাফিক পুলিশকে কথা কাটাকাটি সহ ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে জানায়। এরপর ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা এসে সোনামণিকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়। তখন জাকির হোসেন জুয়েল নিরুপায় হয়ে জাকারিয়া পিন্টুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বসেন।

এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের একটি দল জাকারিয়া পিন্টুর অফিস ঘেরাও করে প্রতিষ্ঠানের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জুয়েল, তারেক, হাবিব, মামুন ও চয়নকে গ্রেফতার করে।

দুঃখজনক ঘটনা হলো, সৃষ্ট ঘটনার সাথে ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মিলন দাস, আরিফ হোসেন, কামরুজ্জামান রিপন জড়িত না থাকলেও তাদের আসামি করা হয়েছে।

এই তিনজনের সাথে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কোন সম্পর্ক নেয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মামলার আসামি করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে প্রকৃত আসামী ব্যতিরেকে অন্যদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি না করার আহবান জানান ।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম রবি ও আব্দুল খালেক, যুবদল নেতা ও কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার আবু জাহিদ উজ্জ্বল, রফিকুল আলম তুহিন, রবিউল ইসলাম রাজু সহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।