পাবনার ঈশ্বরদীতে বৃহস্পতিবার (৪ মে) পৃথক চারটি ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসন গ্রীণসিটিতে গুলনারা রইয়াবোভা (৫০) নামক এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারী প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এতমস্ত্রয় এক্সপোর্টে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে আটটার দিকে গ্রীণসিটির ১৩ নম্বর ভবনের চৌদ্দ তলার ৬ নং ফাটে গুলনারার মরদেহ সনাক্ত হলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়। গুলনারা রইয়াবোভা স্বামীসহ ওই ফাটে বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে মুনিব (১৫) নামে এক কিশোর নিখোঁজ হয়। পরে বিকাল ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে। নিহত মুনিব উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড় বাঘইল গ্রামের মজিদুল মন্ডলের ছেলে। এসময় নদীতে ডুবে আরো দু’জন অসুস্থ হয়ে পরলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই দিন সেতু (২২) নামে এক গৃহবধূ গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সেতু উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের রতন হোসেনের স্ত্রী। রতনের চাচী মলি খাতুন জানান, দুপুরে রতনের সঙ্গে মোবাইল কথা হয় সেতুর। সেতু পাশের গ্রামে একটি মেলায় যাওয়ার জন্য রতনের কাছে অনুমতি চাইলে রতন তাকে যেতে নিষেধ করেন। স্বামীর প্রতি অভিমান করে সে ঘরের ডাবের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে ফাঁস নেয়। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে মারা যায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পৌর শহরের সাঁড়া গোপালপুর এলাকায় সাজ্জাদ হোসেন (৩) নামে এক শিশু ট্রাক্টরের চাকার নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাজ্জাদ হোসেন সাঁড়া গোপালপুর এলাকার মাজেদুল ইসলামের ছেলে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদিকা জানান, আমি দায়িত্ব পালনের সময় তিনজন হাসপাতালে এসেছিল। এদের মধ্যে দুইজন আগেই মারা গেছে। একজনের মৃত্যু হাসপাতালে হয়েছে।