বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে পাবনার ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেওয়ার সময় পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণে ৪ আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল থেকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের রেলগেট, কাচারীপাড়া ও দাশুড়িয়া গোলচত্বর মোড়ে এসব ঘটনা ঘটে। এ সময় পৌর শহরে যান চলাচল কিছুক্ষণ স্থবির হয়ে পড়ে, ঈশ্বরদী শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- পথচারী নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, রিপন আলী ও শিক্ষার্থী মোকিম হোসেন, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস রুবেল, মোহনা টিভির পাবনা প্রতিনিধি হোজ্জাতুল্লাহ হিরা, মাই টিভির ঈশ্বরদী প্রতিনিধি আলিফ হাসান, দাশুড়িয়া বাজারের চা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম, পথচারী মিঠু, ঈশ্বরদী পৌর এলাকার মামুন হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঈশ্বরদীর সমন্বয়ক ও ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন জানান, পূর্বঘোষিত এক দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে যোগদানকালে দাশুড়িয়া, সলিমপুর, সাহাপুর, পাকশীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে ঈশ্বরদী পৌর কাচারীপাড়া এলাকায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবির হাসান শৈশবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করলেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা রাজপথে অবস্থান নিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সামান্য ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশের কঠোর অবস্থানে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।