ঈশ্বরদীতে দুই গার্মেন্টস কর্মী গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৪
————
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।। ঈশ্বরদীতে দুজন নারী গার্মেন্টসকর্মী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে মুলাডুলি এলাকার একটি আখক্ষেতে। এই ঘটনার সাথে জড়িত ৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে চাকরিরত দুই নারী শ্রমিক গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর’২২ বিকেলে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় আসে তাদের পূর্ব পরিচিত আল-আমীন নামের জনৈক যুবকের সাথে দেখা করার জন্য। তারা রাত আনুমানিক ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। এরপর মুলাডুলির একটি নির্জন আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে আল-আমীন সহ তার ৫-৬ জন সহযোগী বন্ধু এই দুইজন নারী শ্রমিককে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা পালিয়ে যায়। ধর্ষিতা ঐ দুই নারী শ্রমিক বিবস্ত্র অবস্থায় চিৎকার করতে করতে রাস্তায় এলে জনৈক সিএনজি চালক তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় থানায় সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঐ দুই নারী শ্রমিককে পুলিশ থানা হেফাজতে নেয়। ধর্ষিতা দুই নারী শ্রমিকের বর্ণনা অনুযায়ী রাতেই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪জন ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এরা হলো ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের লক্ষিকোলা গ্রামের বাকি বিল্লার ছেলে আল-আমীন (২৫), একই গ্রামের নায়েব আলী সরদারের ছেলে মহিদুল সরদার (৩৫), নাটোরের বড়াই গ্রাম উপজেলার রাজাপুর গ্রামের চাঁন মিঞার ছেলে জাভেদ (৩৫) ও একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৫)। এব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় ভিক্টিমের বর্ণনা অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন যে, ভিক্টিমদের থানা হেফাজতে নেয়ার পরপরই তাদের বর্ণনা অনুযায়ী তড়িৎ অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য আরও আসামীকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।