পুলিশের সাঁড়াশী অভিযান ঈশ্বরদীর চাঞ্চল্যকর স্বর্ণের দোকানে চুরির রহস্য উদঘাটন
চুরিকৃত স্বর্ণ রুপা ও প্রায় ৮লক্ষ টাকা উদ্ধার, ৯ চোর গ্রেফতার
————
ঈশ্বরদী থেকে এস এম রাজা।। দীর্ঘ প্রায় ১ মাস অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর পুলিশ ঈশ্বরদীর আওতাপাড়া বাজারের মল্লিকা জুয়েলার্স নামক একটি স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং চুরি হওয়া নগদ অর্থ ও স্বর্ণ উদ্ধারসহ এঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা চোর/ডাকাত দলের ৯জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার মধ্যখোন্তাকাটা গ্রামের মৃত রুহুল আমীনের ছেলে ডাকাত সরদার মোঃ শহিদুল হাওলাদার (৪৯), মোঃ আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ আব্দুল মালেক (৪০), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ বাবুল হাওলাদার ওরফে ভাড়ানী বাবুল (৫২), মোঃ শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মোঃ বাবুল হাওলাদার ওরফে বোকদা বাবুল (৫০), নাটোর জেলার সদর উপজেলার পারখোলা বাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তারের ছেলে মোঃ সাঈদ (৫৭), নাটোর জেলা সদরের হৈবতপুর গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে মোঃ জালাল উদ্দীন (৩৭), বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মোরশেদ সড়ক শেহলাবুনিয়া গ্রামের মোঃ ফজলুল হকের ছেলে মোঃ রুস্তুম আলী শেখ (৬০), বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের রতন মিস্ত্রির ছেলে মোঃ শান্ত মিস্ত্রি (২০) ও বাগেরহাট জেলার মোড়েল গঞ্জ উপজেলার খেজুরবাড়ীয়া গ্রামের শম্ভুনাথ কুলুর ছেলে বাবুল কুলু (৫৩)।
এদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ৬ ভরি ৫ আনা স্বর্ণ, ৫০ ভরি রূপা, ৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদী ও ১০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, গত ২৯ নভেম্বর’২২ দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া বাজারের মল্লিকা জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। আন্তঃজেলা এই চোর দলের সদস্যরা উক্ত স্বর্ণের দোকানে পাশ্ববর্তী কাপড়ের দোকানের ভেতরে ঢুকে পাশের ওয়াল ছিদ্র করে স্বর্ণের দোকানে প্রবেশ করে। তারা ৬ ভরি ৫ আনা স্বর্ণ, ৫০ ভরি রূপা এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের ৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন।
সিআইডি বিভিন্ন ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেন।
৩ ডিসেম্বর’২২ ঈশ্বরদী থানায় পেনাল কোডের ৪৬১/৩৮০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পাবনা পুলিশ জেলা সুপার আকবর আলী মুনসীর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মাসুদ আলমের নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোহাম্মদ হাদিউল ইসলাম, এসআই অসীত কুমার বসাক ও এসআই সাগর কুমার সাহা সহ পুলিশের একটি চৌকসদল নিরলস ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে চুরাই মালামাল উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রেরকঃ এস এম রাজা
ঈশ্বরদী, পাবনা।