ঈশ্বরদীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
——
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।।
আজ ৩১ মে’২৪ সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রাম থেকে সুমনা খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের সম্রাট হোসেনের স্ত্রী এবং ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ইস্তা গ্রামের সুজন হোসেনের মেয়ে।
সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় সুমনার মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
সুমনার পরিবারের পক্ষ থেকে তার পিতা অভিযোগ করেছেন তার দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে সুমনাকে স্বামী সম্রাট পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
সুমনার পিতা আরও জানায়, তার জামাতা সম্রাট আগেও একটি বিয়ে করেছিলো এই কথা গোপন করে প্রায় ৮ মাস আগে তার মেয়ে সুমনাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে সম্রাট ও তার বাবা-মা সুমনার ওপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। তারা পরিকল্পিতভাবে সুমনাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই সম্রাট ও তার বাবা-মা পলাতক রয়েছে। ওই এলাকার জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে সুমনার বাবাসহ পরিবারের লোক ঘটনাস্থলে যায়।
এরপর ঈশ্বরদী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমনার লাশ উদ্ধার করে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সুমনার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পাবনা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
এখন জনমনে প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে সুমনার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা?