ঈশ্বরদীতে
খায়রুল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।।
পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবী জানালেন নিহতের বৃদ্ধা মা আছিয়া বেগম (৯০) ও শিশু কন্যা মারিয়া (৮)সহ গ্রামবাসী।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করা হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড় এলাকার কয়েক হাজার নারী পুরুষ প্রচন্ড রোদ গরমের মধ্যে স্বতঃফূর্তভাবে কয়েক ঘন্টা ব্যাপী উপস্থিত থেকে এসব কর্মসুচি পালন করেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধনে খায়রুল ইসলামকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে অভিযোগ করে চরগড়গড়ি কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি ইসাহক মোল্লা বলেন, খায়রুল ইসলাম স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী। সমাজসেবী। এলাকার দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা মিমাংসা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে তাদের হাতে আরও অনেককে হত্যার শিকার হতে হবে।
নিহত খায়রুলের ৯০ বছরের মা আছিয়া বেগম কর্মসুচিতে উপস্থিত হয়ে ছেলের খুনিদের ফাঁসি নিজ চোখে দেখে যাওয়ার আকাঙ্খা ব্যাক্ত করেন।
নিহত খায়রুলের স্ত্রী লিপি খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবী করছি।
কর্মসুচিতে অন্যান্যের মধ্যে হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে বক্তব্য রাখেন সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার তুহিন হোসেন, পল্লী চিকিৎসক মিনারুল ইসলাম, রন্টু, আব্দুর রশিদ প্রামানিক, সাইদুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, পিন্টু প্রামানিক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন নিহতের ছেলে এইচ এসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র সাইফ হাসান লিমন। সংবাদ সম্মেলনে আবেগ আপ্লুত হয়ে বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়েছে শিশু কন্যা মারিয়া।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কটে জমি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ের পশ্চিম পাড়ার হুদি-প্রামানিক গোষ্টির সঙ্গে একই এলাকার পূর্ব পাড়ার প্রামানিক গোষ্টির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সংঘর্ষে খায়রুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে চরগড়গড়ি পূর্বপাড়ার হোসেন আলী প্রামানিক গোষ্টি লোকজন। এই ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত আরও ২৩ জন আহত হয়।আশংকাজনকভাবে জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৭/৮ জন। শনিবার নিহত খায়রুল ইসলামের ভাই মোঃ আনারুল বাদী হয়ে হোসেন আলী প্রামানিক গোষ্টির ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কিছুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার ৪জন নামীয় আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।