ঈশ্বরদীতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসব মুখর পরিবেশে সমাপ্ত হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
স্টাফ রিপোর্টার।। ঈশ্বরদীতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসব মুখর পরিবেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।
গত ৮ অক্টোবর’২৪ মহা ষষ্ঠী থেকে উৎসব শুরু তারপর পর্যায়ক্রমে সপ্তমি, অষ্টমি, নবমী ও বিজয়া দশমী শেষে ১৩ অক্টোবর’২৪ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের দুর্গোৎসব।
এবছর ঈশ্বরদী উপজেলায় মোট ৩২টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় দুর্গা পূজা। প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় ঈশ্বরদী পৌর এলাকার মৌবারিয়া মন্দির সংলগ্ন পুকুরে ৯ টি, সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়ীয়া পদ্মা নদীতে ৪ টি, পাকশীর তালতলা পদ্মায় ১ টি, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর নীচে পদ্মায় ৫ টি, মুলাডুলি পুকুরে ১ টি, ফরিদপুর পুকুরে ১ টি, আদিবাসী পুকুরে ১ টি, পতিরাজপুর পুকুরে ১ টি, মুলাডুলি সন্ধার পুকুরে ২ টি, পালপাড়া পুকুরে ১টি, দাশুড়িয়া কলেজ পুকুরে ২টি, সাহাপুর পুকুরে ২ টি এবং লক্ষীকুন্ডা চেয়ারম্যান ঘাট পদ্মায় ২ টি।
এবার মৌবাড়ীয়া কেন্দ্রীয় মন্দিরে মানতের পাঁঠা বলি হয়েছে মোট ৫৫ টি। বলির মাংস সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে ভক্ত বৃন্দের মধ্যে বিতরণ করে দেয়া হয়।
দেশের পরিবর্তিত পরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত এবারের দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্হা নিশ্চিত করেছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক সুবীর কুমার দাশ এবং ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম শহীদ সার্বক্ষণিক সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিলেন যাতে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এদিকে পূজা মণ্ডপের দায়িত্ব পালন কারি কমিটির কর্মকর্তারা অনেকেই বলেছেন যে, ঈশ্বরদীতে সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে এউৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। প্রায় দেড়শত বছর ধরে চলছে এ উৎসব। সকল ধর্মের মানুষের মধ্যেই উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়। শুধু পূজা পার্বন বলে কথা নয়, কোন সময়ই এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হবার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি, আগামীতেও ঘটবে না বলে তারা আশাবাদী। এজন্য ঈশ্বরদীর সকল রাজনৈতিক দলসহ আপামর জনসাধারণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গৃহীত কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্হা গ্রহনের জন্য উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকেও তারা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।