ঈশ্বরদী উপজেলা সংবাদদাতা।। আজ ১৪ সেপ্টেম্বর’২০ সোমবার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মিন্টু গ্রুপ ও ইসা গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে আসন্ন পাবনা ৪ আসনের উপনির্বাচনকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিনিধি সম্মেলন আহ্বান করা হয়।সম্মেলন শুরু হওয়ার মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর সাথে বাগবিতণ্ডর সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা সংঘর্ষে রূপ নিলে উভয়পক্ষ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার করে। উভয় পক্ষের হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু গ্রুপের রনি , লাবু, কালাম, অলি, মতিন, অনিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছুরিকাহত রনি ও লাবুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা, বক্কার মালিথা, সজীদ মালিথা, আমিরুল, টিপুসহ ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,কোন প্রকার উস্কানি ছাড়াই আওয়ামিলীগে অনুপ্রবেশকারীরা ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে আবারো খণ্ড-বিখণ্ড করার চক্রান্ত হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই নৌকার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।অন্যদিকে, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা বলেছেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর নেতৃত্বেই এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। হামলার ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। তার অনুসারী ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাসির উদ্দিন আহমেদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমান সমগ্র শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বর্তমানে কোন উত্তেজনা নেই।আজকে আওয়ামী লীগ আহত প্রতিনিধি সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপিকে ফুলের তোড়া দেয়া নিয়ে মতবিরোধের কারণে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি বলে তিনি জানান।
প্রেরক: এস এম রাজা, ঈশ্বরদী,পাবনা।