ঈশ্বরদীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নকল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত কসমেটিকস পণ্য, অভিযানে এক ব্যবসায়ীর
২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
————
এস এম রাজা।। ঈশ্বরদী বাজার সহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বড় বাজারগুলোতে দীর্ঘ দিন থেকে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নকল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত কসমেটিকস পণ্য। এইসব পণ্যের বাহ্যিক মোড়কের চেহারা অবিকল আসলের মতো হওয়ায় সহজেই ক্রেতাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসলের দামে বিক্রি করে বাড়তি পয়সা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। নকল পণ্য কিনে ক্রেতারা আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির শিকার হলেও বিক্রেতারা রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। এই কসমেটিকস পণ্য অনেকটা বিলাসী পর্যায়ের বলে গন্য হওয়ার কারণে সচারাচর সাধারণ মানুষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরে সে ভাবে আসে না। এই সুযোগে পেশাদার কালোবাজারিরা ধুমচে নকল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত কসমেটিকস পণ্যের পসরা বসিয়ে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইতিপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও তেমন ফলাফল পাওয়া যায়নি।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর’২২ সকালে ঈশ্বরদী বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলে এর সত্যতা প্রমানিত হয়। অভিযান পরিচালনা কালে নকল ও নিষিদ্ধ কসমেটিকস বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পাবনা’র সহকারী পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পাইকারী কসমেটিকস লিমিটেড এর প্রো-প্রাইটর মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে মোঃ সানোয়ার রহমান খোকন দায়িত্ব পালন করেন। অভিযান পরিচালনা কালে প্রশাসনিক সহযোগিতা করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। এব্যাপারে পাইকারী কসমেটিক লিমিটেডের প্রো-প্রাইটর মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ক্রেতাদের চাহিদার কারণে নকল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত কসমেটিকস আমদানি করে বিক্রি করে বলে জানায়। এই সকল নকল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত কসমেটিকস বিক্রয় করে শতকরা ৭০-৮০% মুনাফা করা হয় বিধায় আসলের মোড়কে এই পণ্য বিক্রি করে এই সকল অবৈধ ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা অনৈতিক ভাবে উপার্জন করছে। আজকের অভিযানে পাইকারি কসমেটিকস লিমিটেডের দোকান থেকে নকল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ২৫ আইটেমের ২ কার্টুন কসমেটিকস ধ্বংস করা হলেও গোপন গুদামে প্রচুর পরিমানে মজুদ রয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ঈশ্বরদী বাজার সহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বড় বাজার গুলোতে এই ধরনের নকল কসমেটিক বিক্রির অসংখ্য দোকান রয়েছে। যারা আসলের অনুরূপ মোড়কে প্যাকেট জাতকৃত কসমেটিক পণ্য বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হচ্ছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন এধরণের অভিযান কালে ভদ্রে নয় জনস্বার্থে প্রতিনিয়ত সাঁড়াশি অভিযান চালানো প্রয়োজন।
প্রেরকঃ এস এম রাজা
ঈশ্বরদী, পাবনা।