ঈশ্বরদীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আহত :খুনি আটক
ঈশ্বরদী উপজেলা সংবাদদাতা।।
ঈশ্বরদীতে শারমীন শিলা (৩২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত । দূর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছে গৃহবধূর স্বামী রাহানুর(৪০)।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২১ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে ঈশ্বরদীউপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনশিদপুর গ্রামে।জানাগেছে, নিহত শারমীন শিলা সকালে গৃহকর্ম করার এক পর্যায়ে সুমন আলী (৩০) নামে এক দূর্বৃত্ত বাড়ীতে ঢুকে তার ওপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলো পাতারী কোপাতে থাকলে তার চিৎকারে স্বামী রাহানুর ছুটে এসে তাকে বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে যখম করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খুনিকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে খুনি সুমনকে গ্রেফতার করে। খুনি সুমন ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের সরাইকান্দি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।ওদিকে শারমিন শীলা ও তার স্বামী রাহানুরকে হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই শিলা ঘটনাস্হলেই মৃত্যু বরন করে। আহত রাহানুরকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, তিনতলা বাড়ির তৃতীয়তলায় থাকতেন স্বামী ও স্ত্রী । গৃহবধূ শারমীন শিলা সাংসারিক কাজ করছিলেন। স্বামী ঘুমিয়ে ছিলেন। তার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী হাঁটতে বের হয়েছিলেন। বাড়ির প্রধান দরজা খোলা ছিল। এ সময় খুনি সুমন বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ শারমীনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কোপাতে থাকে।তার
চিৎকারে স্বামী রানাউর রহমান স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে হামলাকারী।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সুমনকে আটক ও গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। আহত স্বামী রানাউর রহমানকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ঈশ্বরদী সার্কেলের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব কোনো শত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তারপরও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসংবাদ লিখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি তবে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।