বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ ::
নিখোঁজের সাতদিন পর ঈশ্বরদীতে সাগর এর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার পাবনায় বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু পাবনায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ছবি ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগে চারজন গ্রেফতার ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু ঈশ্বরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নগদ অর্থ মালামালসহ ২ টি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত, ১০ লাখ টাকা ক্ষতি ঈশ্বরদীতে নবাগত এসিল্যান্ডের যোগদান স্ত্রীর আত্মহত্যাকে হত্যা দাবী করে সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন ঈশ্বরদীতে তাপদাহের মধ্যেই কাটা হচ্ছে গাছ ঈশ্বরদীতে খায়রুল হত্যার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে শামসুর রহমান শরীফ স্মৃতি ইন্দো- বাংলা আন্তর্জাতিক ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ অনুষ্ঠিত

ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, কোরবানি দেয়া যায় দশ টাকায়!

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১

 

 

 

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহায় সাধারণত সামর্থবানরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। কোরবানির পর পশুর গোস্তের একভাগ বিলি করা হয় হতদরিদ্রদের মাঝে। দিনভর গোস্ত সংগ্রহের পর তা পরিবারের সদস্যদের মুখে তুলে দেন নিম্নআয়ের মানুষ।

এই হত-দরিদ্ররা কোনোদিন পশু কোরবানি দেয়ার স্বপ্নও দেখে না। তাই বলে সাধ পূরণ হবে না? এ জন্য তারা গড়ে তোলেন ‘হতদরিদ্র সমিতি’। নিজেদের আয় থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা করে জমিয়ে সেই টাকায় হয় তাদের সাধপূরণ। বছর শেষে জমানো টাকা দিয়ে তারা কেনেন কোরবানির গরু। নিজেরা আনন্দ করে মাংস বণ্টন করে নেয়ার পাশাপাশি সাধ্য অনুযায়ী এলাকার গরিবদেরও দেন সেই আনন্দের ভাগ।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মূল সতাল গ্রামের ১৪ জন হতদরিদ্র মানুষ এভাবেই কোরবানি দিয়ে এলাকায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উল্লেখ্য এদের তিনজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বাকি প্রত্যেকেই দিনমজুর।

সমিতির সভাপতি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাহতাব উদ্দিন জানান, পাঁচ বছর সমিতি পরিচালনা করছেন তারা। নিজেদের জমানো টাকায় প্রতিবছরই কোরবানি দেন। এবারও ৭৬ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে কোরবানি দিয়েছেন। এছাড়াও সমিতির টাকা ছোটখাটো ব্যবসায় খাটানোসহ নিজেদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে তারা ব্যবহার করেন। এরপরও যদি জমানো টাকা থেকে যায় তাহলে সেই টাকা সদস্যদের ফেরত দেয়া হয়। ঈদের পরদিন থেকে আবারও নতুন করে টাকা জমানো শুরু করেন তারা।

‘যদি থাকে স্বজন তেঁতুল পাতায় নজন।’ উল্লেখ করে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনোদিন চিন্তাও করি নাই নিজের টাকায় কোরবানি দিমু। তেমন সামর্থ্যও নাই। কিন্তু এই ১৪ জন স্বজনের উদ্যোগে আমরা এখন কোরবানি দেই। অহন আর কোরবানির গোস্তের লাইগ্যা অন্যের বাড়িত চাইয়্যা থাহন লাগে না।’

এ বছর কোরবানি দেয়ার পর ১০ হাজার টাকা জমা ছিল। সেই টাকা সদস্যদের মধ্যে ঈদের দিন সকালে ভাগ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান জহিরুল ইসলাম। দেশের অন্যান্য গরিব-অসহায় মানুষ যদি এভাবে সমিতি করে টাকা জমিয়ে কোরবানি দেয় তাহলে তাদেরও আর কোরবানির মাংসের জন্য দুঃখ করতে হবে না বলে মনে করেন তিনি।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!