ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার উন্নয়নে নিজের জীবন উৎস্বর্গ করতে কুন্ঠাবোধ করবো না।।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস— এমপি
———
এম এন সরদার ও মুনমুন আক্তার।। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি বলেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অটল ও অবিচল থেকে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণআস্থা রেখে ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার উন্নয়নে নিজের জীবনকে উৎস্বর্গ করতে মোটেও কুন্ঠাবোধ করবো না।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর’২১ সন্ধ্যায় ঈশ্বরদীর পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডের মাহাবুব আহমেদ খান স্মৃতি মঞ্চে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন সমূহ সহ আপামর জনসাধারণের পক্ষ থেকে তাকে দেয়া বিশাল জন সংবর্ধনার জবাবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ’কথা বলেন।
তিনি বলেন, নৌকা ও স্বাধীনতা বিরোধী কোনো অপশক্তি, অন্যায়,অবিচার ,অনিয়ম ও চাঁদাবাজদের স্থান আমার কাছে হবে না। কোনো রাজাকারের সন্তান আওয়ামী লীগে স্থান পাবে না। ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারীদের ঈশ্বরদীর মাটিতে ঠাঁই হবে না। ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস এই গণসংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন এবং ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ আলী মালিথা সঞ্চালনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি আরও বলেন, ঈশ্বরদীর সর্বস্তরের মভালোবাসায় অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমি সিক্ত ও ধন্য হলাম তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি উৎস্বর্গ করলাম। তিনি বলেন, ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার উন্নয়নের জন্য ঢাকায় বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও সচিবালয়ে দৌড়ঝাপ ও দেন দরবার করেছি তার অনেকটা সুফলও পেয়েছি। অচিরেই ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন, রেলওয়ে গেটে ফ্লাইওভার নির্মাণ, দাশুড়িয়ায় শেখ কামাল আইসিটি স্যান্টার নির্মাণ, সাঁড়ায় নৌবন্দর স্থাপন সহ বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের সরকারী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পুনরায় চালুর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আশা করি বিমানবন্দরও চালু হবে। এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী সহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী আসার পথে মুলাডুলিতে তাকে বিশাল গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এখানে বক্তৃতাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, মুলাডুলি ইউনিয়নবাসির অবদান ও ভালোবাসার কাছে আমি চিরঋণী। মুলাডুলি ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে আমার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মুলাডুলি ইউনিয়ন যাতে মডেল ইউনিয়ন হয় আমি সে চেষ্টাই করবো।
বিশাল গাড়ি ও মটরসাইকেল বহরে করে তাকে দলীয় নেতা কর্মীরা ঈশ্বরদী মটরষ্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। তার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস পরিলক্ষিত হয়।