দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্য পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির কারণে এই পরিস্থিতি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। ফলে ক্রমেই জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি, ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে পাঁচটি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগরে মধ্যে পড়েছেন। অনেকে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিন যাপন করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি নয় সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও বেড়েছে নদীর পানি।
যমুনা ও অভ্যন্তরীণ চলনবিল, ইছামতি, করতোয়া, ফুলঝোড় ও বড়াল নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নিম্নাঞ্চল, চরাঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এর মধ্যেই যমুনা নদীবেষ্টিত জেলার পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যা প্লাবিত এলাকায় বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়ছে জনসাধারণ। অনেকেই বসতবাড়ি রেখে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।