ঈশ্বরদীতে ভূয়া রিক্রুটিং এজেন্সির ৩ প্রতারক গ্রেফতার।
————————————————
স্টাফ রিপোর্টার।। আজ ৫ আগস্ট বিকেলে ঈশ্বরদী স্টেশন রোডের ফাবিয়া এন্টার প্রাইজ নামের এক ভুয়া রিক্রটিং এজেন্সিতে পুলিশের যৌথ অভিযানে ঐ প্রতিষ্ঠানের ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঈশ্বরদী শহরের সোনালী ব্যাংকের পাশে বিশ্বাস ভবনের ৩য় তলায় ফাবিহা এন্টারপ্রাইজ লি: নামের ঐ ভূয়া রিক্রুটিং প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরি দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছিল। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আজ এই অভিযান পরিচালিত হয়। পাবনার ডিবি, ঈশ্বরদী থানা ও আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ি যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ করিম এই অভিযানে নেতৃত্বে প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠান ফাবিহা এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম (৩২), এমডি রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও জিএম নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
এই অভিযানে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, ঈশ্বরদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শহীদুল ইসলামসহ ডিবি ও পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা অংশগ্রহন করেন।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর জানান, ফাবিহা এন্টারপ্রাইজ লি: নামে প্রতিষ্ঠান খুলে চাকুরি দেয়ার নামে গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিল। এই ভূয়া প্রতিষ্ঠানের কথিত চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথভাবে অভিযান পরিচালিত হয়। গত তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি রিক্রুটিং এজেন্ট সেজে হাজার হাজার বেকার যুবককে প্রতারিত করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ঈশ্বরদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম জানান, অনলাইনে এবং ফেসবুকে বিভিন্ন নামী-দামী কোম্পানী ও রূপপুর প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরির ভূয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রিক্রুটিং এজেন্ট ফাবিহা এন্টারপ্রাইজের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। বাস্তবে বিজ্ঞপ্তির কোন অস্তিত্ব নেই। চাকুরি প্রার্থিরা এলে প্রথমে পাঁচ শত টাকা ফরম পূরণের জন্য নেয়া হতো। পরে এজেন্ট প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওযার জন্য তিন হাজার টাকা গ্রহন করে বলা হয়, সিরিয়ালি ডেকে নিয়োগ দেয়া হবে। কিন্তু পরে আর কোনদিনই ডাকা হয় না। এভাবেই চক্রটি প্রতারণা করে আসছিল বলে তিনি জানান।