রাজবাড়ীর পাংশায় চার সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাজবাড়ী জেলা সংবাদ দাতা।। রাজবাড়ীর পাংশায় আলিফা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের মো: নিজাম উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলিফা খাতুন চার পুত্র সন্তানের জননী। তিনি তার কনিষ্ঠ পুত্র সন্তান নিয়ে উপজেলার যশাই ইউনিয়নের পূর্ববালিয়া গ্রামের পিতা সালাম শেখের বাড়িতে থাকতেন। অন্য তিন সন্তান পিতা নাজিম উদ্দিন খানের বাড়িতে থাকেন। নাজিম উদ্দিন খান তার ছোট স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। বিয়ের পর ২-৩ বছর আলিফা সুখে শান্তিতেই সংসার করে আসছিলেন। তারপর দীর্ঘদিন ধরে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। এরপর নাজিম উদ্দিন দ্বিতীয় বিবাহ করে ঢাকায় সংসার পাতেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে আলিফা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। মাঝেমধ্যে শ্বশুর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। তাদের মধ্যে ঝামেলা মেটাতে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার শালিসও হয়।
নিহতের বোন শাপলা খাতুন বলেন, আমার বোন গতকাল তার স্বামীর বাড়িতে যায়। রাতের কোন এক সময় তার স্বামীর বাড়ির লোকজন ওকে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।
নিহতের পিতা সালাম শেখ বলেন, আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। আমি থানায় মামলা করবো।
নিহতের বড় ছেলে আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার মা আমার নানা বাড়িতে থাকে। গতরাত ১ টার দিকে আমাদের ঘরের পিছনে টিউবওয়েলর পাশের আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেত পায় স্থানীয়রা। তাদের চিৎকার চেচামেচি শুনে ওখানে গিয়ে দেখি আমার মা গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আম গাছের সাথে ঝুলে রয়েছে।
পাংশা মডেল থানার এসআই রাজিব বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ঘটনাটি ঘটে। আমরা সংবাদ পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাযাবে।