মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন

ভারী বৃষ্টির কারনে উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশংকা

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তায় এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রজবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে দুধকুমার নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারী বৃষ্টিপাতের (৮৯ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে এবং পরবর্তী দুদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দ্রুত বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানির সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে, আগামী তিনদিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীগুলো- আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, টাঙ্গন, পুনর্ভবা, ইছামতি-যমুনা ও যমুনেশ্বরী নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের এই সব নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পরবর্তী একদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী একদিন নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

এছাড়া রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুদিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে ও পরবর্তী একদিন পানির সমতল স্থিতিশীল এবং পরবর্তী দুদিন বৃদ্ধি পেতে পারে তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে।

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরবর্তী তিনদিনে নদ-নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। অন্যান্য প্রধান নদী মনু, খোয়াই, ধলাইয়ের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে।

এদিকে সোমেশ্বরী, ভুগাই নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সারিগোয়াইন, কংস নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। এই সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরবর্তী তিনদিন পর্যন্ত এসব নদীর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, গোমতী নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে হালদা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী তিনদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মিলি মিটার/২৪ ঘণ্টা) কম প্রবণতা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট বঙ্গোপসাগর এলাকায় কোনো লঘুচাপ না থাকায় আগামী তিনদিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার পরিলক্ষিত হতে পারে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!