এস এম রাজা।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী এদেশের ব্রিজ কালভার্ট রেলপথ সহ যাবতীয় অবকাঠামো ধ্বংস করেছিল। জাতির পিতার নেতৃত্বে আবার স্বাধীন দেশের মাটিতে এই ধ্বংসকৃত সকল সেক্টরকেই পুনর্জীবিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন তিনটি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনির্মিত ৬০ দশমিক ২০ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি’২৩ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসবভন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব রেলপথ উদ্বোধন করেন।
এর মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর রেলস্টেশনটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মালপত্র ও যন্ত্রপাতি আনার সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেশনটি চালু করতে ৩৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় ২৬ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত লাইনটিতে ট্রেন চলাচল প্রায় ৩৫ বছর ধরে বন্ধ ছিল।
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নীত করতে আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন করা হচ্ছে। ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ ৯ বছরেও শেষ হয়নি। এই রুটের কসবা থেকে মন্দবাগ ও শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে এই লাইনের লাকসাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বাকি ৩৪ কিলোমিটারের কাজ চলতি বছরের আগামী জুনে শেষ করার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ নির্মাণকাজ চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ রেললাইন। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে নির্মিত দ্বিতীয় লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। ভারতীয় ঋণে ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে। টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় লাইন চালু হওয়ায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় সাশ্রয় হবে।
এ সময় টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানের অপর প্রান্তে কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর, পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর এবং টঙ্গী ও জয়দেবপুর সেকশনে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈশ্বরদীর পাকশিতে রূপপুর রেলওয়ে স্টেশন উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, পশ্চিমরেলের জিএম অসীম কুমার তালুকদার, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার সুফি নুর মোহাম্মদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।