শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ ::
ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাবিবুর রহমান হাবিব–বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঈশ্বরদীর মহিলা কলেজকে সরকারি করণ করা হবে উত্তরণ পাবনার আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত ঈশ্বরদীতে উদ্ভোধন হলো স্বল্প আয়ের মানুষদের ক্রয় সুবিধার জন্য সুলভ বাজার প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতার দাপটে ধ্বংসের মুখে চররুপপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ যেই লোম হর্ষকঘটনা জাহিলিয়াতকেও হার মানায়,সত্য কখনও গোপন থাকে না  ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা আটক বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঈশ্বরদী আন্তঃ উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক সিন্টু গুরুতর আহত! ঈশ্বরদীতে ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি আটক

নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর কারন এন্টিবায়োটিক রোধী জীবানু

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১

 

 

আইসিডিডিআর,বি এবং ম্যাসাচুসেটস জেনেরাল হসপিটাল (এমজিএইচ)- এর গবেষকদের পরিচালিত একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রোগজীবাণু প্রতিরোধী হয়ে উঠছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ গবেষণার ফলাফল ওপেন ফোরাম ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রোগজীবাণুর প্রতিরোধী হয়ে ওঠা একটি সম্ভাব্য মারাত্মক মহামারির সৃষ্টি করতে পারে যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে পারে।
আইসিডিডিআর,বি-র নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশনের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. মোহাম্মদ যোবায়ের চিশতি গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। ড. চিশতি গবেষণা পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন যখন তিনি দেখতে পান যে, আইসিডিডিআর,বি-র হাসপাতালে অনেক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কমবয়সী শিশু ভর্তি হচ্ছে যারা উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে চিকিৎসার বিরুদ্ধে উচ্চ মাত্রায় প্রতিরোধী জীবাণুতে আক্রান্ত।
ড. চিশতি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং শ্বাসতন্ত্রের উন্নততর চিকিৎসা সত্ত্বেও ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কয়েক ডজন শিশু নিউমোনিয়ায় মৃত্যৃবরণ করে’। নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের একটি সংক্রমণ যার ফলে এর বায়ু থলিগুলোতে তরল পদার্থ ও পুঁজ জমা হয় এবং এতে কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। কার্যকর চিকিৎসা ছাড়া এ সংক্রমণ প্রাণহানিকর হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্যা সংস্থার তথ্য অনুসারে, কমবয়সী শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ নিউমোনিয়া। কমবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়া হতে পারে, তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারণেও নিউমোনিয়া হতে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য উচ্চ আয়ের দেশে স্ট্যাফিলোকক্কাস (‘স্ট্যাফ’), স্ট্রেপটোকক্কাস (‘স্ট্রেপ’) এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার সবচেয়ে কারণ, যা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে চিকিৎসার মাধ্যমে উপশম হয়। শেষের দু’টি জীবাণুর ক্ষেত্রে টিকা বিশ্বব্যাপী অসংখ্য জীবন রক্ষা করেছে।
ড. চিশতি এবং তার সহকর্মীরা ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পাঁচ বছরের কমবয়সী ৪ হাজারেরও বেশি শিশুর স্বাস্থ্যা-সংক্রান্ত রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখতে পান যে, ব্যাকটেরিয়াজনিত একদম ভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য স্থানে নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী সাধারণ স্ট্যাফ ও স্ট্রেপের কারণে সঙ্ঘটিত সংক্রমণের হার এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম ছিল। এসব শিশুর মধ্যে যাদের পজিটিভ কালচার ছিল তাদের মধ্যে গ্রাম- নেগেটিভ ব্যকটেরিয়া ৭৭ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ী ছিল, এসব জীবাণুর মধ্যে ছিল সিউডোমোনাস, ই. কোলাই এবং ক্লেবসিয়েলা, প্রভৃতি।
এই গবেষণার সহ-প্রধান লেখক ও ম্যাসাচুসেটস জেনেরাল হসপিটাল ফর চিল্ড্রেন-এর পেডিয়ট্রিক গ্লোবাল হেলথ বিভাগের প্রধান ড. জেসন হ্যারিস বলেন, ‘বোস্টনে আমি যে কাজ করি তার থেকে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন’। তিনি আরো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, এসব শিশুর মধ্যে আমরা যে গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দেখেছি সেগুলো অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ’। এ গবেষণায় পাওয়া প্রায় ৪০ শতাংশ গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় সচরাচর ব্যবহৃত প্রথম ও দ্বিতীয়-স্তরের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধকে প্রতিরোধ করে। আরো উদ্বেগের বিষয় হল, যেসব শিশুর ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ ছিল না তাদের তুলনায় অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর সম্ভাবনা ১৭ গুণ বেশি ছিল।
ড. হ্যারিস মনে করেন এসব গবেষণালব্ধ ফলাফল সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত তুলে ধরে যে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এমন দীর্ঘস্থাায়ী উদ্বেগ এখন আর তাত্ত্বিক নয়, বরং এই সমস্যা ইতিমধ্যেই শেকড় গেড়ে বসেছে। ড. হ্যারিস বলেন, ‘এসব শিশু ইতিমধ্যেই অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে অকালে মারা যাচ্ছে, এবং এই একই কারণে বিশ্বের অন্যান্য অ লে ভয়াবহ সংক্রমণের সৃষ্টি হবে’।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!