নওগাঁ থেকে আটকের পর র্যাব-৫ হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর অভিযোগটি তদন্তের স্বার্থে অভিযানে থাকা ১১ সদস্যকে ডেকেছে তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার র্যাব সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি রাজশাহীর র্যাব-৫ ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তরে যায়। কমিটির সদস্যরা জেসমিনকে আটক অভিযানে থাকা র্যাব সদস্যদের ডেকে পাঠায়। এর আগে গত বুধবার সদর দপ্তরের গঠিত কমিটির সদস্যরা নওগাঁ যান। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব সদস্যদের ডেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। কমিটির তাদের কাছ থেকে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানবেন।
যেকোনো অভিযোগ তদন্তে র্যাব সদর দপ্তরের নিজস্ব ইন্টারনাল ইনকোয়ারি সেল (আইইসি) রয়েছে। সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তে গত ২৭ মার্চ আইইসির অধীনে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ, তাকে আটকের প্রক্রিয়া ও অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবেন।
র্যাব সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, তাদের সংস্থা আইন মেনেই যেকোনো অভিযান পরিচালনা করে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আটকের পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে র্যাবের অভিযান নিয়ে কোনো দুর্বলতা পাওয়া যায়নি। তবে যেহেতু একটি অভিযোগ উঠেছে তাই র্যাব সদর দপ্তরও বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া কোনো র্যাব সদস্যের গাফিলতি আছে কিনা, কারও কোনো অনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তদন্ত কমটি খতিয়ে দেখবে। কারও কোনো গাফিলতি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত গত মঙ্গলবার ঘটনার বর্ণনায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে এনামুল ২০২২ সালের মার্চে একটি জিডি করেন। এমনকি একজন মহিলা তার নামে আইডি ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন মর্মে আদালতে একটি মামলাও করেন এনামুল।