জমকালো আয়োজনে ঈশ্বরদীতে বরণ করা হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২
——
এস এম রাজা।। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১ বৈশাখ ঈশ্বরদীতে বরণ হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন সকালে বিশাল ব্যাতিক্রমি বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে আলহাজ্ব মোড় ঘুরে জেলা পরিষদ ডাক বাংলা মাঠে এসে শেষ হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রায় বিএনপি চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান, উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবীর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম শহীদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম মনিরুল ইসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পাবনা-খ সার্কেলের ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন, ঈশ্বরদী পৌর সভার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা মোখলেসুর রহমান বাবলু, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ আক্তার পান্না, সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি নান্নু রহমান সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, স্কুল কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, পেশাজীবি সহ ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল স্তরের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এই শোভাযাত্রার দৃষ্টিকারা উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিলো সুসজ্জিত হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, মহিষের গাড়ি, পালকি, বাঁশি, মুখোশ, কুলা, চালনা, পলো, খালৈই, মাথাল, নকশা করা মাটির হাঁড়ি সহ বাঙালির আদি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অংশবিশেষ। আদিবাসী শ্রেণীর অনেক মানুষই এই বিশাল শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন। সকলের মধ্যেই ছিলো আলাদা নতুন উৎসবের আমেজ।
ঈশ্বরদীর সকল ইউনিয়ন পর্যায়ের স্কুল কলেজের বাইরেও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গুলোও নিজ নিজ আঙ্গিকে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লাঠি খেলা এবং পান্তা ইলিশ ভোজন সহ নানাবিধ আয়োজনে নতুন নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে উৎসব মুখোর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ বরণ করেন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন তাদের আনন্দ শোভাযাত্রা সমাপ্ত করে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো মাঠে আয়োজিত দিনব্যাপী লোকজ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ। এখানে পান্তা ইলিশ ভোজন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ঈশ্বরদীর সর্বত্র ব্যাপক আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানাদী সম্পন্ন হওয়ায় এবং উপজেলা প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় ঈশ্বরদীবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাস।