ঈশ্বরদীর পশু হাটগুলোতে আমদানি প্রচুর, ক্রেতা নেই আশানুরূপ
হতাশ খামারি ও ব্যবসায়ী
—————
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।। কোরবানির ঈদ অত্যাশন্ন। আগামী শনিবার (৭ জুন’২৫) ঈশ্বরদী সহ সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে কোরবানির ঈদ। এবারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঈশ্বরদীর গবাদিপশুর হাট গুলোতে বিশেষ করে অরণকোলা ও আওতাপাড়া হাটে বিপুল পরিমাণ গবাদিপশু আমদানি হলেও বিক্রি হচ্ছেনা আশানুরূপ। যায়ই বিক্রি হচ্ছে সন্তোষ জনক দাম পাচ্ছেন না বলে বিক্রেতারা অনুসূচনায় ভুগছেন৷
কোরবানির ঈদে পোষাক-পরিচ্ছদ ক্রয়ে মানুষের সাধারণত তেমন কোন আগ্রহ থাকে না। সামর্থবানদের লক্ষ্য থাকে কোরবানি দেয়ার জন্য গরু-ছাগল ক্রয় করার। এসময় গবাদিপশুর হাটগুলোতে প্রচুর আমদানি এবং ক্রেতা সমাগমও থাকে জমজমাট। কিন্তু এবারের ঈদে আশানুরূপ গবাদিপশু বিক্রি হচ্ছে না কোন হাটেই। মূলত ক্রেতার সংখ্যা কম।
ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা তাদের পশুর দাম হাঁকছেন সাধ্যের বাইরে। তাই ধার্য্যকৃত বাজেটে গরু-ছাগল ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে বিক্রেতারাও আশানুরূপ দাম না পেয়ে এবং কম বিক্রি হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশু হাট হলো ঈশ্বরদীর অরণকোলা। রোজার ঈদের পর থেকেই কোরবানি ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে এ হাটের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। অরণকোলা হাটে মূলত শুধু গরু ও মহিষ কেনা-বেচা হয়ে থাকে। অন্যদিকে সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশুহাটে প্রচুর গরু ও ছাগল বিক্রি হয়ে থাকে। এ হাট দুটি সরকারি ভাবে ইজারাদার দ্বারা পরিচালিত হয়। এছাড়াও লক্ষ্মিকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া হাট এবং সাহাপুর ইউনিয়নের নতুন হাটে গরু-ছাগল বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু অরণকোলা ও আওতাপাড়া হাটের তুলনায় পশু আমদানি হয় অনেক কম।
গত মঙ্গলবার (৩ জুন’২৫) অরণকোলা পশুহাটে প্রচুর পরিমাণে গরু আমদানি হলেও তেমন একটা ক্রেতার দেখা মেলেনি। সামর্থবান অনেক লোকই আত্মগোপনে থাকার কারণে কোরবানির গবাদিপশু বিক্রি হচ্ছে না বলে অনেক বিক্রেতায় জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে গরু-ছাগলের ছোট-বড় খামারের সংখ্যা ৩ হাজার ২৭টি। এসব খামারে কোরবানীর জন্য ৭৩ হাজার ৫০০ পশু প্রস্তুত রয়েছে। অথচ চাহিদা মাত্র ৪৩ হাজার গরু-ছাগল। এ অবস্থায়ও ক্রেতা সংখ্যা একেবারেই কম।
অরণকোলা পশু হাটে গত মঙ্গলবার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, স্থানীয় খামারি ও ব্যবসায়িরা পার্শ্ববর্তী লালপুর, বনপাড়া, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া, ভেড়ামারা উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রির জন্য হাটে গরু আমদানি করেছে। সারিবদ্ধ ভাবে হাজার হাজার গরু বিক্রির জন্য দাঁড় করিয়ে রাখা হলেও ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় বিক্রি নেই বললেই চলে।
হাটের ইজারাদার আলহাজ্ব মিজানুর রহমান রুনু মন্ডল বলেন, হাটে গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা না থাকায় খামারি ও গরু ব্যবসায়িরা চরম হতাশায় পড়েছেন। বিগত বছরগুলোতে হাটে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।