ঈশ্বরদীতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্ম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধানিবেদন ও বৃক্ষরোপন
———————————————————————–স্টাফ রিপোর্টার।। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,মহাননেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বাঙ্গালির লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী বঙ্গজননী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
আজ ৮ আগষ্ট২১ সকালে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যলয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধানিবেদন ও দলীয় কার্যলয়ের সামনে বৃক্ষ রোপন করে কর্মসূচির উদ্ভোদন করেন পাবনা- ৪(ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম খান, কাউন্সিলর আমিনুর রহমান, এমপি পুত্র যুবলীগ নেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও কর্মী বৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের এই দিনে ফরিদপুরের তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়ায় এই মহিয়শী বঙ্গজননী জন্মগ্রহণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সুদীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই হননি, বিশ্ব বরেণ্য মহান নেতা ও রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধুর সমস্ত অর্জনের নেপথ্যে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গজননী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বেগম মুজিব মাত্র ৫ বছর বয়সে তার পিতা-মাতা দুই জনকেই হারান এবং ১৯৩৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন তাঁর সহযোদ্ধা ও কর্মপ্রেরণাদাত্রী। এই ত্যাগী নারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতির নানা দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ। তার বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শসমূহ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
সমগ্র বাঙ্গালি জাতি আজ তাঁর ৯১ তম জন্ম দিনে পরম শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করছেন।