ঈশ্বরদীতে
আন্তঃউপজেলা কাবাডি ফাইনাল খেলায় ২ স্কুলের সংঘর্ষে ইউএনও সহ আহত-৮

ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।। আজ ৮ অক্টোবর’২৪ দুপুরে
ঈশ্বরদীতে গ্রীষ্ম কালিন আন্তঃউপজেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কাবাডি ফাইনাল খেলা চলাকালে রিয়াজুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও সাঁড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে ইউএনও, শিক্ষক সহ ৮ জন আহত হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরের নিজস্ব মাঠে আন্তঃউপজেলা কাবাডি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা চলাকালে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।এঘটনায়

আহতরা হলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাস, সাঁড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র তৌফিক ইসলাম শুভ, লাইবেরিয়ান ও শিক্ষক আবুল কালাম, রিয়াজুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মোঃ সালমান, দর্শনার্থীদের মধ্যে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র নাইম সহ আরও ৩-৪ জন।

ঘটনাস্হল থেকে সাঁড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ শিশিরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতার করার সময় শিশিরের নিকট থেকে ১টি টিপ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কাবাডি খেলা চলাকালে ছলিমপুর ইউনিয়নের রিয়াজুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও সাঁড়া ইউনিয়নের সাঁড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে ঝাউদিয়ার শিক্ষক কালাম তাদের নিবৃত করতে যায়।এসময় রিয়াজুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা তার গায়ে হাত উঠায়। এতে দর্শক সারিতে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাঁড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান আবুল কালাম হামলার শিকার হয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে এসে উপজেলা পরিষদের সামানে বিক্ষোভ ও বিচার দাবী করে।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে

ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের সাথে বহিরাগতরা মিলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রিয়াজুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ইউএনও’র বাসবভন, পিআইও অফিস সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে হামলা ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্হলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।এদিকে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবির কুমার দাস বলেন, অতীতে স্কুল মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো। যেকারনে এবছর পুলিশের উপস্থিতিতে উপজেলা মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এব্যাপারে কোন আপোষ নেই। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হবে।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান , বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ জনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।