করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অনাকাক্সিক্ষত বিরতির পর সবার আগে ক্রিকেট ফিরেছে ইংল্যান্ডে। এর পর থেকে যেন দম ফেলার ফুরসতও নেই তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের পর অস্ট্রেলিয়া দলও এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দেশে। তাদের ঠেকাতে শক্তিশালী টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলই দিয়েছে ইংলিশরা। তাদের শক্তি আর সামর্থ্য সম্পর্কে ভালোই ধারণা আছে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। সীমিত ওভারের সিরিজে মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভাসালেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ। তারর দৃষ্টিতে, ইংল্যান্ড ভয়ঙ্কর দল, তবে তার দলও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে জানালেন সাবেক এই তারকা ব্যাটসম্যান।
সাউদাম্পটনে আজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১১ সেপ্টেম্বর, ম্যানচেস্টারে। ম্যাচ ভেন্যুতে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি-ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করেন মার্নাস লাবুশেন ও অ্যালেক্স কেয়ারি। তাদের এমন পারফরম্যান্সে দলের ব্যাটিং গভীরতা ফুটে উঠেছে এবং বেশ সন্তুষ্ট কোচ। তবে, প্রতিপক্ষের শক্তি সম্পর্কেও সতর্ক ল্যাঙ্গার। সংবাদ সম্মেলনে বুধবার তিনি প্রসংশায় ভাসালেন ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানকে. ‘ইংল্যান্ড ভয়ঙ্কর দল। ওয়েন মর্গ্যানের খেলার ধরন দারুণৃপ্রথম বল থেকেই সে মারতে শুরু করে। তারা কিছু ভালো তরুণ খেলোয়াড় পেয়েছে এবং দলে অভিজ্ঞ কয়েকজনকেও রেখেছে। আমরা জানি, কয়েক বছর ধরে তারা বিশ্বের সেরা ওয়ানডে দল।’
ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। দুই বছর আগে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও হেরেছিল তারা। গত বছর ইংল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপে বিদায় নেয় সেমি-ফাইনাল থেকে। তবে দল এবার প্রত্যাশা পূরণ করতে প্রস্তুত বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার, ‘দুই বছর আগে আমরা এখানে এসেছিলাম এবং ৫-০ ব্যাবধানে উড়ে গিয়েছিলাম। গত বছর এখানে এসে তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছিলাম, কিন্তু (বিশ্বকাপের) সেমি-ফাইনালে বড় ম্যাচটাতেই জিততে পারিনি। সামনে কি অপেক্ষা করছে, আমরা জানি এবং এর জন্য আমরা প্রস্তুত থাকব।’
ল্যাঙ্গারের মতে, সেই ৫-০ ব্যবধানে হারের পর অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মাঝে স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল টেম্পারিংয়ের কঠিন সময়ও পেরিয়ে দল এখন আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে মনে করেন তিনি। দেশের ক্রিকেটের জন্য বিব্রতকর সেই ঘটনার পর দায়িত্ব নেন ল্যাঙ্গার। তার কোচিংয়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া।
0 0