ঈশ্বরদীতে নবজাতক ৮ টি কুকুরছানা হত্যা মামলায় ঘাতক নিশি গ্রেফতার
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি।। গত ৩০ নভেম্বর’২৫ ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে মা কুকুরের অগোচরে নবজাতক ৮টি কুকুর ছানা বস্তাবন্দি করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করার ঘটনায় ঘাতক মোছাঃ নিশি রহমান (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর’২৫) রাত দেড়টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার রহিমপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আ স ম আব্দুন নূর জানান, গত ৩০ নভেম্বর’২৫ বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থানরত নবজাতক ৮টি কুকুরছানা বস্তাবন্দি করে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডের পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করে হাসানুর রহমান’র স্ত্রী নিশি রহমান।
বাচ্চা হারানো কুকুরের আর্তনাদ ও ছোটাছুটিতে পুরো উপজেলা পরিষদ চত্বর ও আবাসিক এলাকা তোলপাড় হয়ে যায়। বিষয়টি লক্ষ্য করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান মালি জাহাঙ্গীর আলম সহ অন্যান্যদের অনুসন্ধান করতে বলেন। ঘটনার পরের দিন সকালে জাহাঙ্গীর হাসানুর রহমানকে কুকুর ছানা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। কিন্তু তার সাথে থাকা শিশু সন্তান আনাফ জানায় যে, তার মা নিশি রহমান কুকুর ছানাগুলোকে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। আনাফ’র জবানবন্দি অনুযায়ী জাহাঙ্গীর সহ অন্যান্যরা পুকুরে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখে মৃত অবস্থায় বস্তাবন্দি কুকুর ছানাগুলো পুকুরের পানিতে ভাসছে। তখন পুকুর থেকে মৃত কুকুর ছানাগুলো উদ্ধার করে।
এসময় মা কুকুর মৃত ছানাদের দেখে চিৎকার করে আহাজারি করতে থাকে। এই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধমে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহল ঘাতক নিশি রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বিষয়টি প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোছাঃ আকলিমা খাতুন। মামলা দায়ের করার পর আসামি ঘাতক নিশি রহমানকে উল্লেখিত সময়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার।
প্রেরকঃ এস এম রাজা
ঈশ্বরদী, পাবনা।