মামলা না তোলায় সাংবাদিকের ভাইকে ছুরিকাঘাতে আহত
স্টাফ রিপোর্টার।।
পাবনার ঈশ্বরদীতে সাংবাদিক মো. হুজ্জাতুল্লাহর পরিবারকে টার্গেট করে ভয়াবহ হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে তার ছোট ভাই মো. সোলাইমান (৩১) গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, সাংবাদিক মো. হুজ্জাতুল্লাহ মোহনা টেলিভিশনের পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। ২০২৪ সালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সকময় সংবাদ সংগ্রহের কারণে তার ওপর একদল দুর্বৃত্ত ক্ষিপ্ত হয় এবং সেসময় তার ওপর হামলার ঘটনায় তিনি ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার পর থেকেই একাধিকবার তার ও তার পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।
সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে ঈশ্বরদীর দেবীপুরে এক দোকানের সামনে সাংবাদিকের ছোট ভাই সোলাইমানকে প্রথম দফা মারধর করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে বহরপুর মোড়ে দ্বিতীয় দফায় পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী। অভিযোগে বলা হয়, ধারালো চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, লোহার রড, জিআই পাইপ ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাকে চারদিক থেকে ঘিরে মারধর করে। মাথায়, কাঁধে, হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সে রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
এদিকে হামলার পরপরই অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং ঘরের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৪৫,৭০০ টাকা, ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের মালা, ৪ আনা ওজনের একটি আংটি, ও ৫ আনা ওজনের এক জোড়া দুল লুটে নেয়। ভাঙচুর ও লুটপাটে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবারটি।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক হুজ্জাতুল্লাহ এ হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।