ঈশ্বরদীতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
এম এন সরদার।। ঈশ্বরদীতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানাপুলিশ।
এরা হলো ঈশ্বরদী শহরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনীর আজগরের ছেলে আল-আমীন(১৭)বাপ্পি আলমের ছেলে শিহাব হোসেন(১৯)ও মৃত দিলসের ছেলে নাদিম(৩৬)। এদের কাছ থেকে মোবাইল সাদৃশ্য ৩ টি ওয়াকিটকি ও বিমান বাহিনীর ২ টি ভুয়া পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানাগেছে, গ্রেফতারকৃত প্রতারকরা নিজেদের বিমান বাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি ঈশ্বরদী শহরের ফতে মোহাম্মদ পুর ড্রাইভার পাড়ার জনৈক জাবেদ খানের কাছ থেকে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তার ছেলেদের সিভি, ছবি, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি গ্রহণ করে জাভেদ এর ছেলেদের বিমান বাহিনীতে চাকরী দেবার জন্য। গত ১২ মে’২৫ গ্রেফতারকৃত আসামীগন অজ্ঞাত একজনকে পুলিশের এসআই সাজিয়ে ছেলের বিমান বাহিনীর ড্রোন গার্ড পদে চাকরী হয়েছে তার ভেরিফিকেশন করার কথা বলে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও মিষ্টি খাওয়া বাবদ ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। ১৫ মে’২৫ সকাল ৯ টায় ট্রেনিং এর কথা বলে ২ টি প্রাইভেট কার ও হাইচ মাইক্রো বাসে গ্রেফতারকৃতরা আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জন জাভেদ এর ছেলেদের রাজশাহী চিড়িয়াখানায় নিয়ে গিয়ে দৌড়, সাঁতার কাটানো এবং লম্ফ ঝম্ফ করায়। সারাদিন পর সন্ধায় তাদের বাড়ীতে পৌঁছে দেয় এবং তারা বলে যে,১৮ তারিখে তাদের নিয়োগ পত্র প্রদান করা হবে। গ্রেফতারকৃতরা জাভেদ এর বাড়ীতে ২৫ কেজির ১ টি চাউলের বস্তা, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মশুরের ডাল ও ৫ কেজি আটা বিমান বাহিনীর রেশন বলে প্রদান করে। ২০ মে’২৫ সকালে জাভেদ এর বাড়ীতে গিয়ে গ্রেফতারকৃত আল আমীন ও নাহিদ নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরিত চাকরীর চুক্তি নামা প্রদান করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের কথায় সন্দেহ হলে আজ ২১ মে’২৫ জাভেদ ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নম্বর -২৮ ধারা ১৭০/১৭১/৪০৬/৪২০/৩৪ পেনাল কোড।
মামলার পর পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানের দিক নির্দেশনা ও ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার এর তত্বাবধানে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম শহীদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকশ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ঈশ্বরদী শহরের নিউ কলোনী থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের জালে ফেঁসে সাধারণ মানুষ সরল বিশ্বাসে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।