ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
স্টাফ রিপোর্টার।।
ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল’২৫) সন্ধ্যা থেকে উপজেলার দাশুড়িয়া সিএনজি স্ট্যান্ডে দুই দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির এক নেতার অফিস ভাংচুর সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত দিন বিকালে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিপন প্রামানিকের বড় ভাই ও স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিকের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দাশুড়িয়া গোলচক্কর সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদা আদায় করতে আসেন। এসময় চাঁদা না দেওয়া ও স্ট্যান্ড ছাড়তে রাজি না হওয়ায় দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে বিপুল মোল্লার পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, আনিছুর ও মান্নান নামে কয়েকজন এগিয়ে গেলে মারপিট শুরু হয়। এতে বিপুল মোল্লা সহ তার অনুসারী কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লা জানান, চাঁদা না দেওয়ায় প্রথমে আমাকে ও পড়ে সিএনজির দুই চালককে মারপিট করে রকু ও তার অনুসারীরা। তবে কারা রকুর অফিস ভেঙ্গেছে তা আমার জানা নেই। কারণ আমরা তখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম।
অপরদিকে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা রকুর ছোট ভাই রিপন হোসেন জানান, বিকালে স্ট্যান্ডে যাত্রী উঠা নিয়ে আমার বড় ভাই রকু ও বিপুল মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি মিমাংসার জন্য তাদের আসতে বলি, অথচ বিপুল মোল্লার অনুসারীরা রাতে আমার ভাইয়ের অফিস ভাংচুর করেছে।
তবে এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিপন প্রামানিকের বড় ভাই ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা রকু প্রামাণিকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে রাতেই বিপুল মোল্লা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।