প্রয়োজনের অর্ধেকেরও কম জনবল নিয়েই চেষ্টা করছি রেলকে ঢেলে সাজানোর—রেলপথ সচিব আব্দুল বাকি
স্টাফ রিপোর্টার।। বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল বাকি বলেছেন,বাংলাদেশ রেলওয়ের এই মুহুর্তে অনুমোদিত অর্গানোজম অনুযায়ী লোকবল ৪৭ হাজার ৫০০ থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২২ হাজার। বর্তমান সরকার গঠনের পর এই অর্ধেকেরও কম সংখ্যক জনবল নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি রেলকে ঢেলে সাজানোর। যত দ্রুত সম্ভব এসমস্যাগুলো উপস্থাপনের জন্যও আমরা কাজ করছি।
’গত ১২ অক্টোবর’২৪ ঈশ্বরদীতে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেড’ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালিন সরকার গঠনের পর নতুন দায়িত্ব পেয়ে পাকশী ও ঈশ্বরদী রেল এলাকা পরিদর্শন কর্মসূচিতে এসেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাকশী পদ্মা নদীতে নতুন হার্ডিঞ্জ সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম আলোচনাতেই উপদেষ্টা মহোদয় এটা কেন হচ্ছে না বলে প্রশ্ন করেন এবং তিনি দ্বিতীয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ র্নিমাণের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। দ্বিতীয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণে সম্ভাবতা যাচাই করার জন্য এশিয়ান ডেভেলমেন্ট ব্যাংককে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এশিয়ান ডেপেলমেন্ট ব্যাংক আমাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। অনেকগুলো প্রকল্প তাদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তারা আরও কিছু প্রকল্পের সম্ভাবতা যাচাই করছে। এই যাচাইয়ের তালিকায় দ্বিতীয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণও ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি অথবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য এশিয়ান ডেভেলমেন্ট ব্যাংককে বলা হয়েছে।
এর আগে রেল সচিব ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেড পরিদর্শনের পর বাইরে এলে রেলওয়ের ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় এলাকাবাসী ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে আন্ত:নগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রত্যাহার না করা, পূর্বের দুটি ট্রেন ঈশ্বরদীতে ফিরিয়ে আনা, স্টেশন আধুনিকায়ন, ট্রেনের রোগী ও বয়স্ক যাত্রীদের ফুটওভার ব্রিজে ওঠানামার জন্য চলন্ত সিঁড়ি স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবি জানান।
জবাবে তিনি বলেন, চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। একইসঙ্গে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাভজনক করার জন্য সিরাজগঞ্জ স্টেশনের পরিবর্তে ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে অপারেট করা গেলে সেক্ষত্রে লাভের একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে মন্তব্য করে বলেন, আমরা এটি বিবেচনায় নেব।
গত ১১ অক্টোবর’২৪ রাতে তিনি ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় সদর দপ্তরে আসেন । সেখানে রাত্রি যাপনের পর পরেরদিন সকালে ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মদপুরের রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেড, রেলওয়ে ক্যারেজ, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন পরিদর্শন করেন। এ সময় পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম, রাজশাহীর চীফ অপারেটিং সুপারিনটেডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ ভুঁঞা, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক, রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সূফি নুর মোহাম্মদ, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন সুপারিনটেডেন্ট মহিউল ইসলামসহ রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।