ঈশ্বরদী শহরের নুর মহল্লা কর্মকার পাড়ায় মিন্টু গং এর বিরুদ্ধে বাড়ীঘরসহ জমি দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার।। ঈশ্বরদী শহরের নুর মহল্লা কর্মকার পাড়ায় মিন্টু মল্লিক ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে জোর পূর্বক বাড়ীঘরসহ জমি দখলের অভিযোগ করেছেন একই এলাকার মৃত হাজি নিজাম উদ্দীন এর মেয়ে মোছাঃ নাজমুন নাহার।
আজ ১১ অক্টোবর’২৪ সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ’অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমার পিতা মৃত হাজী নিজাম উদ্দিন ১৯৮০ সালে জনৈক হানিফ খানের নিকট থেকে জমি ক্রয় করে বাড়িঘর নির্মাণ করেন। এটা বর্তমানে আমাদের বসতবাড়ী। এস, এ রেকর্ডে আমাদের জমির খাজনা খারিজ সব ঠিক ছিল কিন্তু পরবর্তীতে আরএস রেকর্ডে টেম্পার করে ওহাব মল্লিক তার নাম বসিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় আমার পিতা বেঁচে থাকাকালীন উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হন। দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা চলার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিজ্ঞ আদালত আংশিক রায় ঘোষণা করেন। যা আমরা হাতে পাই ৩ অক্টোবর ২০২৪। যেখানে বিজ্ঞ আদালত মত প্রকাশ করেন যে, উক্ত জমি এস এ রেকর্ড থেকে আরএস রেকর্ডে ১৫ জন পক্ষ হয়েছে। এমতাবস্থায় বাদী ও বিবাদী দুইজনের মধ্যে মীমাংসা করলে অন্যপক্ষ গণ ক্ষতিগ্রস্হ হবেন এবং অংকিত নকশা ভ্রমাত্মক বলে আংশিক রায় কারো পক্ষে যায় না। এমতাবস্থায় মিন্টু মল্লিক ও তার ভাইয়েরা গুন্ডাবাহিনী নিয়ে গত ৪ অক্টোবর ২০২৪ কাউকে না জানিয়ে ভোরবেলা মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে বাড়ীঘর ভাঙচুর করে।আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে আমরা প্রশাসনের সহায়তায় ঐদিন ভাঙচুর বন্ধ রাখতে সক্ষম হলেও পরবর্তীতে আবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ ভোরবেলা উক্ত মিন্টু মল্লিক গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমাদের বসতবাড়ীর সব জায়গা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলে।
তিনি বলেন, সুদীর্ঘ ৪৫ বছর যাবৎ এই জমিতে আমরা ভোগদখল করে আসছি। এই জমির ওপর আমার বাবার হরিণ ও গবাদিপশুর খামার ছিল। গুদাম ও দামী গাছপালা ছিল। গুদামঘরে রক্ষিত ছিল দামি দামি যন্ত্রাংশ ও মালামাল। মিন্টু মল্লিক গং সমস্ত কিছু ভেঙে চুরে লুটপাট করে নিয়ে যায়।এসময় আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর’২৪ আদালতে এই মামলা আপিল করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত আপিল গ্রহণ করেছেন। তারপরও তারা গুন্ডা বাহিনী দিয়ে জোর পূর্বক বাড়ীঘরসহ জমি দখল ও লুটপাট করে নিলো।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমার দুই ভাই প্রবাসে থাকে। বাড়িতে আমার অসুস্থ একভাই দুই কন্যাসহ বসবাস করে। আমরা প্রতি মুহুর্তে জানমালের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। তিনি পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা ও ক্ষতিপুরনসহ জমি ফেরত পাবার সুব্যাবস্হা করার জন্য সাংবাদিক, প্রশাসন ও সূধীমহলের কাছে আবেদন জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।