কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮ জুলাই রাজশাহী থেকে দেশের সব লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার রাজশাহী থেকে সীমিত পরিসরে দুটি রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
সেই সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলে রেলওয়ের আওতাধীন বিভিন্ন স্টেশন ও জংশন থেকে মোট ১২ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাকি ট্রেনগুলো দেশের অন্যান্য রুট ও সেকশন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তারই প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘লোকাল ৫৬৩ আপ’ এবং রাজশাহী-খুলনা রুটে ‘মহানন্দা এক্সপ্রেস’ নামে দুটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। ট্রেনগুলোতে পর্যাপ্ত যাত্রীও ছিল।
জানা গেছে, সকালে ছেড়ে যাওয়া লোকাল আপ ৫৬৩ ট্রেনটি দুপুরের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে নিরাপদে ফিরে আসে। এই দুটি নিয়মিত চলাচল করবে। এছাড়া ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী একটি মেইল ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জানান, আপাতত একটি লোকাল ও একটি মেইল ট্রেন চালানোর মধ্য দিয়ে ১২ দিন পর রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়েছে। গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে রাজশাহী থেকে দেশের সব রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। অনেক ট্রেন পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। এখন আটকে পড়া ট্রেনগুলো রাজশাহীতে আনা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত হলে ট্রেনগুলি আবার আগের মতোই চলাচল শুরু করবে।
স্টেশন ম্যানেজার আরও জানান, যাত্রী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও এ সময়ে কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল করেছে। বিশেষ করে জ্বালানি ও পণ্যবাহী ট্রেনগুলো।
উল্লেখ্য, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল সদর দপ্তর ও অন্যান্য স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ১৪টি আন্তঃনগরসহ ৩৬টি ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলো চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।