ঈশ্বরদীতে নবজাতকের মৃত্যু, ডাক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার।।
গাইনি বিশেষজ্ঞের নির্দেশে ঝাড়ুদার ও আয়া কর্তৃক নরমাল ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) করাতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু ও প্রসূতির জীবন সংকটের ঘটনায় ডাক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ১১ জুন’২৪ মঙ্গলবার রাতে নবজাতকের বাবা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাফিসা কবির, আয়া পারুল, ঝাড়ুদার সাথি ও রিসিপশনিস্ট মোঃ রাসেল। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫জনকে আসামী করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার ভোররাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রসব ব্যদনা নিয়ে ভর্তি হন নাটোর লালপুরের মাজদিয়া এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী জিমু খাতুন।
মামলার বাদী সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা চলছে। ডাক্তার নাফিসা কবির, আয়া পারুল, ঝাড়ুদার সাথি ও রিসিপশনিস্ট মোঃ রাসেল হাসপাতালেই দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
গ্রেফতার না করার বিষয়ে থানার সঙ্গে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডাক্তার নাফিসা ও তার স্বামীর সঙ্গে বিশেষ রফা হয়েছে বলে সাইদুর অভিযোগ করেন। আমার স্ত্রী জিমুর অবস্থা শংকটময় থাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থার তেমন একটা উন্নতি হয়নি বলেও দাবী করেন সাইদুর।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মালেকুল আফতাব ভুঁইয়া বলেন, জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় ও আয়া এবং ঝাড়–দারদের দ্বারা নরমালে বাচ্চা ডেলিভারি করাতে গিয়ে একাধিক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগিদের দাবির মুখে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রিপোর্টটি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামীদের সঙ্গে দফারফা করার তথ্যটি সঠিক নয়। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ###