এম এন সরদার।। ঈশ্বরদীতে প্রেমের বলি হৃদয় হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত নামিক ৩ আসামি এখন জেলহাজতে কিন্তু অজ্ঞাত ৩ জন আসামি এখনো বহাল তবিয়তে এলাকায় বিচরণ করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর’২০ দুপুরে ঈশ্বরদী সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া ইসলাম পাড়ার মোঃ আব্দুল হালিমের ছেলে হৃদয় (২২)’কে মিথ্যা কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার সাঁড়া গোপালপুর গ্রামের নুর ইসলাম শেখের ছেলে আনিছ শেখ(৩০),আবুল কালামের ছেলে সজীব (২০), সেকেন্দার আলী মন্ডলের ছেলে তুষার (২০) এবং আরও তিনজন মিলে হাজী জাহাঙ্গীরের বাড়ির পেছনে মেহগনি ও বাঁশ বাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে বেঁধে বুকে, পিঠে,মাথায় এবং অন্ডকোষে অমানুষিকভাবে মারধর করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য হত্যাকারীরা একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় করে আনিছ ও সজীবের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় নিহত হৃদয়ের লাশ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার অজুহাতে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়ের লাশ দেখে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। এ সময় আসামি আনিছ ও সজীব অবস্থা বেগতিক দেখে লোক ডাকার অজুহাতে হৃদয়ের লাশ রেখে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পলায়ন করে। হৃদয়ের নিহত হওয়ার ঘটনাটি ততক্ষণে তার পরিবারের লোকজনের কাছে পৌঁছালে তারা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয় এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নিহত হৃদয়ের লাশ হেফাজতে নিয়ে সুরুতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে, নিহত হৃদয়ের পিতা আব্দুল হালিম উল্লেখিত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ওই দিনই তিন নম্বর আসামি তুষারকে গ্রেফতার করে। অন্য দুইজন নামিক আসামি পরবর্তীকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। হৃদয় হত্যা মামলার আইও এসআই আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, নুর ইসলাম শেখের মেয়ে খাদিজা খাতুন এর সাথে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক এবং খাদিজাকে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল কিনে দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ঐ দিন উল্লেখিত আসামিসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে হৃদয় ও তার অপর দুই বন্ধুকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে একজন কথিত নেতার নির্দেশে উল্লেখিত নামিক আসামিসহ অজ্ঞাত কয়েকজন প্রথমে তিনজনকেই মারধর করলেও কৌশলে হৃদয়ের দুই বন্ধুকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীকালে হৃদয়কে গাছের সাথে বেঁধে আসামিরা কয়েকজন মিলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে বলে নিহত হৃদয়ের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।