উমিরপুর লালন স্মরণ সংঘ উদ্বোধনকালে সিঃসাংবাদিক এস এম রাজা
—————————————————————–
লালনের বাণী খাঁটি মানুষ হতে শেখায়
এস এম দীপ্ত ও ইয়াছিন আরাফাত।। ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক জংসন সম্পাদক, ডিডিপি গুরু আশ্রম এর চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া লালন একাডেমির আজীবন দাতা সদস্য জনাব এসএম রাজা বলেছেন, বাউল গুরু আধ্যাত্মিক সাধক ফকির লালন শাহ তাঁর বাণীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করা এবং নিজেকে শুদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মন্র শিখিয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার উমিরপুর গ্রামে উমিরপুর লালন স্মরণ সংঘ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
উমির পুর লালন স্মরণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রজবালি ভিন্ন বাবা-ডিডিপি আওতাপাড়া বাউল শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীত পরিচালক আমজাদ বাউল, দৌলতপুর থেকে আগত বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও মিউজিশিয়ান মিজানুর রহমান প্রমূখ।
জনাব এস এম রাজা তার বক্তৃতায় আরও বলেন, লালন ছিলেন একজন মহামতি সাধক পুরুষ। তার জীবদ্দশায় কখনও সে মাদকাসক্ত কিংবা ধূমপায়ী ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সৎ চরিত্রের মহা মানুষ। তিনি মানুষের জাতপাত ভুলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি না করে কেবলমাত্র স্রষ্টার অনুকম্পা লাভ করে নিজেকে খাঁটি মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন অথচ তার মাজারকে উপজীব্য করে একশ্রেণীর দুশ্চরিত্রের মানুষ নানা ধরনের মাদকের পসরা বসিয়ে মহামতি সাধক লালনের চারিত্রিক ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। জনাব এস এম রাজা এ ধরনের অপকৃতি বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লালন স্মরণ সংঘ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী এসএম রাজা, মিজানুর রহমান, আমজাদ বাউল, তরিকুল ইসলাম, মুকুল হোসেন, কদম আলি,এম এ মান্নান প্রমুখ। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উমিরপুর লালন স্মরণ সংঘের সদস্য তানভির হসেন জয়।প্রায় ৫ ঘন্টার এই অনুষ্ঠান প্রচুর সংখ্যক দর্শক শ্রোতা উপভোগ করেন।