সারাদেশে শুরু হয়েছে আজ ইউনিয়ন পর্যায়ে গনটিকা কার্যক্রম
স্টাফ রিপোর্টার।। সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। গ্রাম, শহর ও দুর্গম এলাকার মানুষ ছয় দিনে পর্যায়ক্রমে টিকা পাবেন। এছাড়াও মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরও টিকা দেওয়া হবে। শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাকক্ষে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. আবুল বাশার। এসব কথা বলেন।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আজ ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে টিকা ক্যাম্পেইন করে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ২৫ বছর বা এর বেশি বয়সি জনগোষ্ঠী এই টিকা পাবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া এবার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আবুল বাশার।
তিনি বলেন, ১৮ বছর বয়সি অনেকের এনআইডি নেই। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, যদি এনআইডি ছাড়া ১৮ বছর বয়সিদের টিকার আওতায় আনতে যাই, মাঠে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, সেটা আমরা সামাল দিতে পারব না। সে জন্য অনেক আলোচনা করে আমরা ঠিক করেছি বয়সসীমা ২৫ বছর হবে।
‘আমরা চিন্তা করেছিলাম, যদি আমরা ম্যাসিভ আকারে ক্যাম্পেইন না করতে পারি বা মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করতে না পারি, তাহলে সারা দেশে যেখানে আমাদের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে, এত মানুষকে আমরা কীভাবে কাভার করব? এটা পাইলট প্রজেক্ট বলা যেতে পারে। আমরা নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করতে চাই। আমরা দেখতে চাই, আমাদের লোকেরা, প্রান্তিক পর্যায়ে এক দিনে কী পরিমাণ টিকা দিতে পারেন।’
স্বাস্থ্যের ডিজি জানান, যাঁরা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা যেখানে কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন, সেখানে টিকা নেবেন। ক্যাম্পেইনের টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে।
এদিকে ঈশ্বরদীর সকল ইউনিয়নে গন টিকা কার্যক্রম চলছে। টিকা গ্রহণে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট স্বতঃস্ফূর্ত ভাব লক্ষ্য করা গেছে। ছলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বাবলু মালিথা ৬ ‘শ ব্যাক্তিকে এবং লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিচ-উর-রহমান শরীফ ২’শ জনকে প্রাথমিক টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আসমা খান টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।