হার্ডিঞ্জব্রিজের ওপর ট্রেন থেকে মাটিতে পড়ে মহিলার মৃত্যু, লাশ নিয়ে তিন থানার ঠেলাঠেলি , ৪ ঘন্টা পর গতি
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদ দাতা।।
আজ ১৮ এপ্রিল ‘২৫ দুপুর সোয়া ১টার দিকে খুলনা-ঈশ্বরদী -ঢাকা গামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি হার্ডিঞ্জব্রিজ অতিক্রম করার সময় ঐট্রেনের এক অজ্ঞাতনামা নারী যাত্রী ট্রেন থেকে ব্রীজের নীচে মাটিতে পড়ে মৃত্যু বরন করে । কিন্তু সংবাদ পাওয়ার পরও ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জব্রিজের ওপর থেকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় মৃত মহিলার লাশ উদ্ধারের ব্যাপারে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পুলিশ কোন ভূমিকা গ্রহন করেনা। মহিলার লাশ ঈশ্বরদী থানা পুলিশ,ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা পুলিশ নাকি নৌ থানা পুলিশ উদ্ধার করবে এ নিয়ে ৩ থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে চলে দীর্ঘ আলোচনা। ৩ থানার ঠেলাঠেলিতে মহিলার লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে প্রায় ৪ ঘন্টা।
ঈশ্বরদী থানার আওতাধীন পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাকিউল ইসলাম বলেন, এটি রেলওয়ে পুলিশ দেখবেন। কারণ ব্রীজটি রেলওয়ের।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) কিশোর কুমার দত্ত বলেন, রেলওয়ে লাইন বা ব্রীজ থেকে ১০ মিটার দূরে যদি কোন ঘটনা ঘটে তাহলে তা রেলওয়ে পুলিশের আওতায় থাকে না। তখন তা থানা পুলিশ বা পুলিশের অন্যকোন বিভাগের আওতায় চলে যায়। যেহেতু এ মরদেহ ১০ মিটারে বেশী দূরত্বে রয়েছে এটি আমাদের দায়িত্ব নয়।ওদিকে
ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশের ইনচার্জ ইমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এ নারীর মরদেহ থানা পুলিশ বা রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করবে। পরে জানলাম আমাদের উদ্ধার করতে হবে। তাই বিকাল সোয়া ৫টার দিকে নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্হলে পাঠিয়ে মৃত মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি ।
ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
এসংবাদ লেখা পর্যন্ত মৃত মহিলার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মৃত মহিলার লাশ উদ্ধার নিয়ে ৩ থানার ঠেলাঠেলির ঘটনায় জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেরকঃ এস এম রাজা, ঈশ্বরদী, পাবনা।