স্টাফ রিপোর্টার।।
পাবনা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘ভারতের মহাত্মা গান্ধী ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও শান্তির বার্তা বিনিময়ে এই সাইকেল র্যালি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যে ৫২ জন সাইক্লিস্ট বাংলাদেশে এসেছে তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এর মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে আদর্শ ও চিন্তাধারা তা তাদের মাঝে পৌঁছে যাবে।’মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিবেশি ভারতের অবদান ভুলবার নয় উল্লেখ করে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অটুট থাকার কথা বলেন এই সাংসদ।
গান্ধীআশ্রম ট্রাস্টের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা নিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের আহমেদনগর থেকে প্রায় ৩৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শুক্রবার দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৫২ জনের সাইক্লিস্ট দল। ইমিগ্রেশন পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর ঈশ্বরদীতে পৌছালে সাইক্লিস্টদের ফুল দিয়ে বরণ করেন পাবনা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও গান্ধী আশ্রমের কর্মকর্তারা। এসময় শহরের ডাক বাংলাতে এক প্রীতি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র মোঃ ইছাহক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ঈশ্বরদী নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ কিরণ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক দুদু। পরে আলহাজ্বের বিজয়স্তম্ভে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধার্ঘে এক মিনিট নিরবতা পালন ও নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন সাইক্লিস্ট দল ।
বাংলাদেশের গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট ও ভারতের স্নেহালয়া থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবীরা জানায়, এই সাইকেল র্যালি দুই দেশের ভাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে পৌঁছে দিবে অনন্য উচ্চতায়।
ভারত-বাংলাদেশ গুডউইল সাইকেল র্যালির সমন্বয়কারী ড. গিরিস কুলকার্নি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে নানারকম অশান্তি ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের দুই দেশের ভাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে এই সাইকেল র্যালির মাধ্যমে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও চিন্তাভাবনা তরুণদের মাঝে ছড়িতে দিতে আমরা কাজ করছি।’
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের ট্রাস্টি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাস বলেন, আগামী ০২ অক্টোবর তার ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী। দুই বিশেষ সময়কে একসঙ্গে করে আমরা একটি উৎসব আয়োজন করেছি। আমাদেরকে এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে ভারতের মহারাষ্ট্রের স্নেহালয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর শান্তি, অহিংসা, সম্প্রতির বানী পৌঁছে যাবে।’
সাইক্লিস্ট দলে রয়েছে ৫০ জন ভারতীয় ও ২ জন ইংল্যান্ডের নাগরিক। বাংলাদেশের গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট ও ভারতের স্নেহালয়া এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করে। এই ৫২ জন সাইক্লিস্ট আগামী ০২ অক্টোবর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিবে।