ঢাকা অফিস।।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় আমাদের একটি সু-সমন্বিত বৈশ্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার। তিনি বলেন, জাতিসংঘ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এই কঠিন যাত্রায় জি-৭, জি-২০, ওইসিডি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, জাতিসংঘের উপ-সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ এবং জামাইকার অর্থ ও পাবলিক সার্ভিস মন্ত্রী নাইজেল ক্লার্কের সাথে জাতিসংঘ আয়োজিত অর্থমন্ত্রীদের এক যৌথ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
সভার সামগ্রিক উদ্দেশ্য ছিল কোভিড-১৯ সঙ্কটের ভয়াবহ পরিণতি থেকে মুক্তি পেতে নীতিগত বিকল্পগুলির একটি কার্যকরী তালিকা নিয়ে আলোচনা করা। একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে একটি স্থিতিশীল এবং টেকসই বৈশ্বিক আর্থিক কাঠামো তৈরি করা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৮ মে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল এবং কানাডা ও জামাইকার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ‘ফিনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ইন দ্যা ইরা অফ কোভিড-১৯ বিওন্ড’ শুরু করেন। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও রেমিট্যান্স, কর্মসংস্থান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, টেকসই পুনরুদ্ধার, বৈশ্বিক আর্থিক তারল্য এবং স্থিতিশীলতা, ঋণ ঝুঁকি, বেসরকারি খাতের ঋণদাতাদের অন্তর্ভ‚ক্তি এবং অবৈধ আর্থিক প্রবাহের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি আলোচনা গ্রুপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে, বিভিন্ন গ্রæপ সদস্য দেশ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রয়োজন বিবেচনা করে বিকল্পগুলির একক, উচ্চাকাঙ্খী তালিকা তৈরির কাজ করছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা গ্রুপ-১ এ সহ-নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মিশর, জাপান এবং স্পেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাথে বৈদেশিক অর্থ ও রেমিট্যান্স, চাকরি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি উন্নয়নশীল এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অগ্রাধিকারগুলির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য এই গ্রুপটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন। রেমিট্যান্স, রফতানি আয়, বিনিয়োগ, এলডিসি এবং উত্তরনরত দেশগুলির জন্য সরকারি উন্নয়ন সহায়তা, এসডিজির অর্থায়ন ইত্যাদিসহ বাস্তব ক্রিয়া এবং নীতিমালার সুপারিশ করেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা একে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করি। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো শূণ্য দশমিক ৭ শতাংশ ওডিএ প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে যা এখন করোনা পুনরুদ্ধারের সাথে সহায়তা করছে।
বৈঠকে জাতিসংঘের ষাটের বেশি সদস্য দেশগুলির অর্থমন্ত্রী, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা এবং বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। মন্ত্রীদের আলোচনাগুলি আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ৭৫তম ইউএনজিএ’র উচ্চ-স্তরের সপ্তাহের ভার্চুয়াল বৈঠকে রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে জমা দেয়া হবে।
0 0