শেষ পর্যন্ত হজম হলোনা ডাকাতি করা রেলওয়ের মূল্যবান গাছ
——————————————————————–
বিশেষ প্রতিনিধি।। শেষ পর্যন্ত হজম হলোনা ডাকাতি করা রেলওয়ের মূল্যবান গাছ। সুবোধ বালকের মতো ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে রেলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
জানাগেছে, ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ফতোমোহাম্মাদপুর রেলওয়ের গোরস্থান সংলগ্ন লেবেল ক্রসিং গেট এলাকায় রেলওয়ের জমিতে পৌরসভার রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার ওজুহাতে রেলওয়ের অনুমতি ছাড়াই সাতটি গাছ গোপনে কেটে ফেলা হয় একটি চক্রের যোগসাজশে । গত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান খোকনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে এসব গাছ কেটে ফেলা হয় অভিযোগ ওঠে ।ঐদিন দুপুরে খবর পেয়ে কেটে ফেলা গাছগুলোর খন্ড করাতকল থেকে জব্দ করে পাকশী রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ । এই ঘটনায় পুরো এলাকায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের ফতোমোহাম্মাদপুর রেলওয়ের লেবেল ক্রসিং গেট সংলগ্ন রেলওয়ের বিশাল পুকুরপাড়ের শিল কড়ই ও কৃষ্ণচূড়ার ৭টি গাছ কেটে স্থানীয় সুইটের করাতকলে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐদিন দুপুরে খবর পেয়ে কেটে ফেলা গাছগুলোর খন্ড সুইটের করাতকল থেকে জব্দ করে পাকশী রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ হেফাজতে নিয়ে যায় ।
এব্যাপারে করাতকলের মালিক সুইটকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, কেটে ফেলা গাছগুলোর কারণে পৌরসভার রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান খোকন গাছগুলো কেটে করাতকলে রাখতে বলেন। লোকবল লাগিয়ে গত দুইদিন ধরে গাছগুলো কাটা হয়। আরো কিছু গাছ কাটার সময় রেলওয়ে থেকে লোকজন এসে গাছ কাটতে নিষেধ করেন। একই সঙ্গে করাতকল থেকে গাছের টুকরোগুলো নিয়ে যান।
পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান খোকন জানান, তিনি কাউকে গাছ কাটতে হুকুম প্রদান করেননি। তিনি গাছ কাটেন না, নতুন করে আরো গাছ লাগান বলেও দাবী করেন।
অন্যদিকে, ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াকিল আহমেদের এঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
রেলওয়ের পাকশীস্হ এসএসএই ওয়ার্কস তৌহিদ সুমন জানিয়েছেন , গাছগুলো পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান খোকন ও পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াকিলের নির্দেশে কেটে ফেলা হয়েছে হজমের উদ্দেশে কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে করাতকল থেকে কেটে ফেলাগাছগুলোর ১৭ টি খন্ড জব্দ করে নিজেদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আইনগত ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।