চাঞ্চল্যকর সুলতান হত্যা মামলার তিন আসামী গ্রেফতার।
লালপুর সংবাদদাতা।।
গতকাল ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি লালপুর থানা নাটোর এর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ ফারুক হোসেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লালপুর থানার হত্যা মামলা নং ১৯(১)২১ এর তদন্তে প্রাপ্ত তিন জন আসামিকে পৃথক পৃথক অভিযানে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা লালপুর থানার গোধড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী শাহর ছেলে মোঃ আলম(৪৬), একই থানার দিয়াড়পাড়া গ্রামের মৃত মুনসেব আলীর ছেলে মোঃ হাসমত আলী ও অপর জন একই থানার গোধড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মোঃ লতিফ। পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন জানান গত ১২ জানুয়ারি ২০২১ লালপুর থানার অধীন কদমচিলান ইউনিয়নের চৌষুডাঙ্গা গ্রামের ফসলের মাঠে একটি অজ্ঞাত লাশ পড়ে আছে মর্মে চেয়ারম্যান মারফত জানতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে নাটোর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মহোদয়, বড়াইগ্রাম সার্কেল অফিসার, ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আশেপাশে কেউ লাশটির শনাক্ত করতে না পারলে লাশের পকেটে থাকা একটি মোবাইল উদ্ধার করে মোবাইলের নাম্বারের এনআইডি সার্চ করে মৃত ব্যক্তির নাম সুলতান পিতা-মৃত আলাউদ্দিন মাড়িয়া থানা বাগাতিপাড়া নাটোর বলে জানা যায়। পুলিশ মৃতব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে লাশের শনাক্ত করে উক্ত লাশ মর্গে পাঠায়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে এবং তদন্ত অনুসন্ধান করে জড়িত আসামি সানোয়ারকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করার জন্য তার পিছু নিয়ে পঞ্চগড় নীলফামারী এবং সৈয়দপুর অভিযান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে আব্দুলপুর রেল স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামি সানোয়ার বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার জবানবন্দিতে প্রাপ্ত আসামী আলম শাহ ও হাসমত এবং অজ্ঞাত একজন জড়িত আছে মর্মে জানা যায়। সানোয়ারের জবানবন্দির ভিত্তিতে পরবর্তীতে আলম ও হাসমতকে গ্রেপ্তারের জন্য নগরকান্দা থানা ফরিদপুর ও কুষ্টিয়াতে অভিযান পরিচালনা করে এবং আসামিকে গতকাল বিকালে বনপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামি আলম ও হাসমতের দেয়া তথ্য মতে পরবর্তীতে আসামি লতিফকে গোধড়া বাজার এলাকায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত মর্মে
জানায়। আসামিস সানোয়ার মৃত সুলতান এর কাছে ধারের দুই হাজার টাকা পেত। সে টাকা উদ্ধার করার জন্য সুলতানকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় বিভিন্নভাবে টর্চার করে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে আজ সোপর্দ করা হয়েছে।